হাওয়াইয়ে ভয়াবহ দাবানল, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
হাওয়াই দ্বীপের মাউই কাউন্টিতে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আরও কয়েকশ মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাই, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। এরপর হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসের কারণে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৪ হাজার পর্যটককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। তবে, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনও অনেক মানুষের সন্ধান পায়নি কর্তৃপক্ষ। আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া লাহাইনা শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের বাড়ির দিকে যখন দাবানলের আগুন এগিয়ে আসছিল তখনও তাদের হুঁশিয়ার করার জন্য কোনো সতর্কসংকেত দেওয়া হয়নি।
গভর্নর জোস গ্রিন বলেছেন, দিনটি একটি ‘হৃদয়বিদারক দিন’। এ ঘটনায় ঐতিহাসিক নগরী লাহাইনার অন্তত ১ হাজার ৭০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শহরটির ৮০ শতাংশ এলাকা দাবানলের আগুনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে হোটেলগুলোতে দুই হাজার কক্ষ চাওয়া হয়েছে তাদের জন্য।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় লোকজন এখনও বসবাস করতে পারছে সেখানকার মানুষদের তাদের বাড়ির অতিরিক্ত কক্ষে আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এটা হাওয়াই দ্বীপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নিহতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। শত শত ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি বলেন আরও বলেন, লাহাইনাকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে বহু বছর লাগবে। এই শহরটিই মূলত দাবানলের কেন্দ্রবিন্দু। লাহাইনার ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখলে আপনি বিস্মিত হবেন। সবভবনই নতুন করে তৈরি করতে হবে। এটা হবে একটা নতুন লাহাইনা।
শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাউইয়ের প্রায় এগার হাজার মানুষ এই দুর্যোগের মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে। এই দাবানলে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে অনেক বছর ও শত শত কোটি ডলার লাগবে।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, ঠিক কতো মানুষ এখনও নিখোঁজ আছেন তা জানা নেই। তবে, সংখ্যাটি এক হাজারের কম হবে না। তবে, পুলিশ প্রধান জন পেটেলিয়ের বলেন, এর মানে এই নয় যে, এসব মানুষ মারা গেছে। পুরো দ্বীপে এখন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট নেই। সে কারণে লোকজনকে খুঁজে পাওয়াটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
সূত্র : বিবিসি
এফআর/অননিউজ