২দিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা
হিলি প্রতিনিধি।।
বেশ কয়েকদিন ধরে পেয়াজের দাম কমতির দিকে থাকার পরে আবারো বাড়তে শুরু করেছে দাম। আমদানি কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আবারো দুদিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২টাকা করে। দুদিন দিন আগে বন্দরে প্রতি কেজি পেয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল)৩৮টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা থেকে বেড়ে ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পেয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ সাধারন ক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেয়াজের চাহীদা মেটাতে ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। কিন্তু বাজারে দেশীয় পেয়াজের সরবরাহ বাড়ায় ও দাম কম থাকায় আমদানিকৃত পেয়াজের চাহীদা কমে যায়। এতে করে বাড়তি দামে পেয়াজ আমদানি করে আমদানিকৃত পেয়াজ কমদামে লোকশান করে বিক্রি করতে হচ্ছিল আমদানিকারকদের।
এর উপর অতিরিক্ত গরমের কারনে পেয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে পেয়াজ কমদামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছিল আমদানিকারকরা। বর্তমানে ভারতে যে পেয়াজের দাম রয়েছে তাতে করে দেশে পৌছে পেয়াজের পড়তা ৪০টাকার মতো। কিন্তু দেশে পেয়াজের বাজার ৩৪থেকে ৩৬টাকায় নেমে আসায় লোকশান গুনতে হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমে গেছে।
এর ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির চাহীদার তুলনায় সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। এছাড়াও দেশীয় পেয়াজের দাম কমতির দিকে ছিল সেটিও আবারো বেড়েছে যার কারনে আমদানিকৃত পেয়াজের চাহীদা বাড়ায় দাম কিছুটা বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, পুজার ৬দিন বন্ধ শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৭ অক্টোবর থেকে পুনরায় আমদানি রফতানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে পেয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
তবে পেয়াজের আমদানি আগের তুলনায় দিন দিন কমছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ট্রাক পেয়াজ আমদানি হতো এখন সেখানে ১০ থেকে ১৫ট্রাক পেয়াজ আমদানি হচ্ছে।
২৩ অক্টোবর শনিবার বন্দর দিয়ে ১০টি ট্রাকে ২৬১টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। ২৪ অক্টোবর রবিবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ৩৬৮টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচামাল তাই দ্রুত খালাস দিতে বন্দর কতৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে রেখেছে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24