শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে বিশ্ব শান্তি কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা
নীলফামারী প্রতিনিধি।।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে নীলফামারী তে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়েছে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ( ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার) সকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন,আলোচনা সভা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী মাতা মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় শ্রী শ্রী কালী মাতা মন্দিরের সভাপতি অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর পিপিএম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহিস মাহমুদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি খোকারাম রায় সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায়। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উত্তম রায় বাদল। ক্ষত্রিয় সমিতির সভাপতি অনিমেষ রায়।
আলোচনা শেষে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা নীলফামারী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া জেলার সৈয়দপুর ডোমার ডিমলা জলঢাকা কিশোরগঞ্জ এ পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমীর মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দ্বাপর যুগের শেষ দিকে মথুরা নগরীতে তাঁর জন্ম হয়েছিল। সেই সময় আসুরিক ও পাশবিক শক্তি পৃথিবীকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল। তা থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতেই জন্ম হয়েছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের। অনেকে একে বলেন কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী অথবা শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী। প্রতিবছর মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে জন্মাষ্টমী পালিত হয়।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম সন্তান। পণ্ডিতদের একাংশের মতে তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ সালে ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে জন্মেছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩১০২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মথুরার যাদববংশের বৃষ্ণি গোত্রের সন্তান ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে জন্মাষ্টমী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। স্থান ভেদে নানা ভাবে এই উৎসব পালিত হয়।
এফআর/অননিউজ