বাড়ির কাছেই মিললো স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মরদেহ
আল-আমিন কিবরিয়া।।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভোররাতে পালালেও, সকালে বাড়ির অদূরেই পাওয়া যায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেনের(৩৫)মরদেহ। রোববার দিবাগত ভোররাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মোকাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) নিহতের স্ত্রী পলি আক্তার জানায়, রোববার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত ভোররাত ৪টার দিকে একদল পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে জাকিরের নাম ধরে ডাকাডাকি করে এবং ঘরের দরজা খোলার জন্য বলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাকির পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলে তাকে পুলিশ ধাওয়া করে। পরে জাকির আর ফিরে না আসায় তারা (পরিবারের সদস্যরা) ভেবেছিলেন সে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সকালে বাড়ির অদূরে জাকিরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
উপস্থিত লোকজনের সাহায্যে তাকে কাবিলা ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পলি আক্তার আরও জানান, তার দুইটি ছেলে একজন ৩য় শ্রেনিতে এবং আরেকজন ৮ম শ্রেনিতে পড়ে। জাকির ইতিপূর্বে দুইবার স্ট্রোক করেছেন। আজ সে চিরতরে চলে গেছে। এর চেয়ে বেশী আর কিছু বলার নাই।
বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার রাতে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বেশ ক’জন পুলিশ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেনের বাড়িতে যায়। তাকে ডাকাডাকি করলে সে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া করে পুলিশ। সকালে বাড়ির পাশে জাকিরের মরদেহ পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাকিরের দুই হাতে হ্যান্ডকাফের দাগ রয়েছে। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হতে পারে।’
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জাবেদ উল ইসলাম জানান, রাতে পুলিশ জাকিরকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যায়। ঘরে তাকে না পেয়ে পুলিশ সদস্যরা চলে আসেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খন্দকার বলেন, ‘জাকির একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন। পুলিশ রাতে জাকিরের বাড়িতে গেলে তাকে না পেয়ে তারা ফিরে আসে। সকালে শুনেছি, বাড়ির কাছেই তার মরদেহ পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।’