নড়াইল আলোচিত অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদুকের মামলা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও মোটা অংকের বিনিময়ে চাকরি পান

নড়াইল প্রতিনিধি্।।

নড়াইলের আলোচিত-সমালোচিত সদ্য বদলি হওয়া সেই কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সুমিত্রা সেন কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে। মামলায় ৪ নম্বর আসামি নড়াইলের সেই কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমান।

এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালে শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসারসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কাছ থেকে নম্বরপত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি করেন সাবেক ডিজি লিয়াকত আলী লাকি ও তার এক সহযোগি। সূত্র জানিয়েছে, মোটা অংকের বিনিময়ে ১০টি পদে চাকরি প্রার্থী ২২ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও নম্বর বাড়ানোর মাধ্যমে অবৈধভাবে তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এই ২২ জনের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হামিদুর রহমান। জানা গেছে, হামিদুর রহমান লিখিত পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পান। সেখানে তাকে ৫০ নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ১২৫ নম্বর।

২০২৩ সালের জানুয়ারী হামিদুর রহমান নড়াইল জেলা কালচারাল অফিসার যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে চরম দূর্বব্যহার, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্টদের সম্মানী না দেয়া, ডকুমেন্টেশন ও প্রচার, অডিটোরিয়ামের সাউন্ড, ইলেকট্রিক ও ভবন সংস্কারসহ বিভিন্ন খাতে দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে যার পরিমান প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ নিয়ে শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন করে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে নড়াইলের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল,সমাবেশ করে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক তদন্তে জেলা প্রশাসন কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পেলে ৬ ফেব্রæয়ারী তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায়।

এদিকে হামিদুরের বিরুদ্ধে দীর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হলেও তিনি বহাল তবিয়তে নড়াইলে থেকে রাজত্ব করে গিয়েছেন। কারণ হামিদুরের খুঁটির জোর ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সদ্য বিদায়ী সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। হামিদুরের দূর্নীতির অর্থের একটি ভাগ পেতেন সাবেক মহাপরিচালক লাকি।

আরো দেখুনঃ