বাগমারায় মাছ চাষ নিয়ে বিরোধ দুপুরে লাঠিয়াল বাহিনীর মানববন্ধন রাতে বাড়িতে হামলা

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।

বাগমারায় বিলসুতিবিলে মাছ চাষ নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুপুরে মানববন্ধন শেষে রাতে আদর্শ মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে লাঠিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান জাহিদুল
ইসলাম বাচ্চুসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। সমিতির সদস্য মকসেদ আলী বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। অপরদিকে কৃষকদের পক্ষেও হেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে আদর্শ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ইসলাম
সরদারসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিলসুতি বিলে ৪৩২ একর খাস জলাশয় আদর্শ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে বার্ষিক ৫০ লাক্ষ টায় ছয় বছরের জন্য সরকারিভাবে লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী জাহিদুল ইসলাম বাচ্চুর নেতৃত্বে একটি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে মাছ চাষে বাঁধা দেওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার রাতে দ্বীপপুর বাজারে লাঠিয়াল বাহিনীর সঙ্গে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২১ জন আহত হয়। এই ঘটনার পর কৃষকদের ওপর হামলার করা হয়ে বলে দাবি করে বুধবার দুপুরে দ্বীপপুর বাজারে কৃষকদের নামে লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

কিন্তু মানববন্ধন শেষে রাতে লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন হামলা চালিয়ে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে মাষ্টার জালাল উদ্দিন, ইয়াচিন আলী ও সমিতির সভাপতি ইসলাম সরদারসহ ওই সমিতির ৮-১০ জন সদস্যের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন, মজনু রহমান, আবু জাফর, কফের আলী ও মকসেদ আলীসহ সমিতির ৯ জন সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। আশংকাজরক অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানার ওসি তৈহিদুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনার পর থেকেই বিল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। উভয় পক্ষই পালটা পালটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

একে/অননিউজ24

আরো দেখুনঃ