কুবিতে শিক্ষকদের গুণগত মানবৃদ্ধি নিয়ে আইকিউএসি’র কর্মশালা
কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর আয়োজনে শিক্ষকদের নিয়ে ‘টিচিং কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জনসংযোগ কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল রুমে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
কর্মশালা অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান বলেন, “অভিজ্ঞ এবং অনভিজ্ঞ শিক্ষক পার্থক্য করা কঠিন কিন্তু আদর্শ শিক্ষক শনাক্ত করা সহজ। একজন শিক্ষক চাইলে শিক্ষকতার প্রথম দিন থেকেই আদর্শ শিক্ষক হতে পারে। একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়ার জন্য যে গুণাবলি দরকার তা আয়ত্ব করতে পারলেই একজন শিক্ষক আদর্শ শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে এর জন্য অভিজ্ঞতার দরকার হয় না। একজন শিক্ষককে অবশই নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ভালো মানুষ হতে হবে। যা নির্ভর করে তার কমিটমেন্ট,ডেকিকেশন, ইথিক্যাল ম্যানারের উপর।”
তিনি আরো বলেন, “একজন শিক্ষক একাধারে একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন শিক্ষাগুরু এবং একজন জ্ঞান বিতরণকারী। আমি আশা করি আমাদের সকল শিক্ষক আদর্শ শিক্ষক হবেন এবং জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিবেন।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “অন্যান্য পেশার সাথে শিক্ষকতা পেশার একটু ভিন্নতা আছে। শিক্ষকদের থেকে শিক্ষার্থীরা কি আশা করে এবং সমাজের মানুষেরা কি আশা করে সেদিকে খেয়াল রেখে চলতে হয়। একজন শিক্ষক কতদিন ধরে শিক্ষকতা করতেছে সেটার উপর তার যোগ্যতা নির্ভর করে না বরং তার কার্যাবলির উপরেই তার যোগ্যতা নির্ভর করে। শিক্ষকদের মানোন্নয়ন করার জন্য এই ধরণের সেমিনারের আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, “গত কয়েকদিন আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কিছু শিক্ষক এসেছেন যারা অত্যন্ত প্রতিযোগিতা ও নিজেদের যোগ্যতায় শিক্ষক হয়েছেন। আপনারা যেহেতু একটি সম্মানীয় পেশাতে যুক্ত হয়েছেন তাই আমি আশা করছি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উপরের দিকে উঠানোর জন্য আপনারা সক্রিয় থাকবেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো উঁচুমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তুলতে পারবেন। শিক্ষকরা ছাত্রদের মডেল, তাই শিক্ষকদেরও গুনী ও আদর্শ শিক্ষক হতে হবে। যারা নতুন এসেছেন তারা প্রত্যেকই একেকজন ভালো শিক্ষক ও ভালো মানুষ হবেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো উপরের দিকে উঠাবেন এই আশাই ব্যক্ত করছি।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কর্মশালার সমন্বয়কারী হিসেবে আইকিউএসি’র এডিশনাল ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষকরা।