জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে যা বললেন আয়াতুল্লাহ খামেনি
অনলাইন ডেস্ক।।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ‘‘যেভাবে ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে, ঠিক তেমনি চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিপক্ষেও দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।
বুধবার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা। ভাষণে ইসরায়েলকে ভুলের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ‘‘এই জাতি কারও চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করবে না।’’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মঙ্গলবারের এক মন্তব্যের বিষয়ে বলেন, ‘‘যারা বুদ্ধিমান এবং ইরান, ইরানি জাতি ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, তারা কখনও হুমকির ভাষায় এই জাতির সঙ্গে কথা বলবেন না। কারণ ইরানি জাতি কখনও হুমকির কাছে মাথানত করে না।’’
সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকানদের জানা উচিত, যেকোনও মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। যার পরিণতি তারা সহজে সামাল দিতে পারবে না।”
এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাত ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়া নিয়ে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ। বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কোনও তৃতীয় পক্ষ ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়লে, সেটি পূর্ণমাত্রার এক সংঘাতের দিকেই যাবে। আর সেটি কেবল এই অঞ্চল নয়; বরং এর বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে।
ইসমাইল বাঘাই বলেন, ইরান আপাতত কেবল ইসরায়েলের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ওপর মনোযোগ দিচ্ছে এবং তারা বিশ্বাস করে, প্রতিবেশী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালাতে দেবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘কূটনীতি কখনই শেষ হয় না।’’ তবে তেহরান এখন আর ওয়াশিংটনের ওপর ভরসা করে না বলেও জানান তিনি।
ইরানি এই কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়াসহ সব দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ করছে ইরান। কারণ তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। আমরা প্রত্যাশা করি, যারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা যেন এই হামলার নিন্দা ও সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে।
সূত্র:বিডি২৪লাইভ
মজ/অননিউজ২৪