সোনাগাজীতে জামায়াত নেতার ওষুধ বিলি নিয়ে তুলকালাম!
জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিরিধি

ফেনীর সোনাগাজীতে মোহতাসেম বিল্লাহ চৌধুরী সবুজ নামে এক জামায়াত নেতার ওষুধ বিলি নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চরগণেশ গ্রামের রহমানিয়া মাদরাসা সংলগ্নস্থানে মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় একটি ভিডিও। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোনাগাজী পৌরসভার চরগণেশ গ্রামের বাসিন্দা মোহতাসেম বিল্লাহ চৌধুরী সবুজ ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওই ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর প্রার্থী তিনি। গত এক বছর পূর্ব থেকে তিনি ওই ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে ওষুধ সহ উপহার সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি মঙ্গলবার বিকেলে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলযোগে ওষুধ বিলি করতে বের হন। রহমানিয়া মাদরাসা সংলগ্ন স্থানে গেলে স্থানীয় যুবদল নেতা নুর আলম জিকো, মো. মোস্তফা, আবু সুফিয়ান ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিক ওয়াদুদের নেতৃত্ব একদল যুবদল কর্মী তার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করেন। এসময় মোটর সাইকেলের সীটের নীচে থাকা কয়েক প্যাকেট সরাকরি ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যম্পলের কয়েক প্যাকেট ওষুধ সহ তাকে আটক করেন। এসময় তারা সরকারি ওষুধ তিনি বিলি ও রাখতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে তাকে জর্জরিত করেন। এসময় বিপুল সংখ্যক লোকজন জমায়েত হলে পৌর যুবদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেন।
পৌর যুবদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করি এবং জামায়াত নেতা সবুজ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে আমি বিষয়টি সমাধান করে দেই। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে রাতে ওই জামায়াত নেতা নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি বলেন আমি সম্ভাব্য পৌর কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নানা সমাজ কর্ম করে যাচ্ছি। আমার পরিবারের পাঁচজন সদস্য ডাক্তার রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ফিজিশিয়ান স্যম্পলের ওষুধ নিয়ে এবং দোকান থেকে কিনে গরিব রোগীদের মাঝে বিতরণ করে আসছি। বিশেষ করে গ্যস্ট্রিক, জ্বর ও এলার্জির ওষুধগুলো গরিবদের মাঝে বিতরণ করি। কিন্তু বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে ভুল বুঝে আটক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেন। এতে আমার পরিবার ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। একটি মীমাংসিত বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আত্মীয়স্বজনদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজীদ আকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি স্থানীয়ভাবে নিজেদের মধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে। সোনাগাজী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ওই জামায়াত নেতা কিভাবে হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ নিয়ে বিলি করেন, সে ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি ওষধ বিলির মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। জনগণকে বোকা বানিয়ে বেহেস্তের টিকেট দিচ্ছেন বলে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন।
jn