কুড়িগ্রামে বিভিন্ন নদ-নদীতে ভারতীয় গাছের গুড়ি কালজানি নদীতে ভেসে আসা কাঠ তুলতে গিয়ে নিখোঁজ ধান ব্যবসায়ী

শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।

ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদনদীগুলোর পানি বেড়েছে। ভারতের দিক থেকে কালজানি নদী হয়ে ভেসে আসছে হাজারো গাছের গুড়ি ও কাঠের টুকরো। এসব কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এক ধান ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তির নাম মনসুর আলী (৪৫)। তিনি নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খামার নকুলা এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ আগস্ট) সকালে দুধকুমার নদীতে ভেসে আসা গাছের গুড়ি সংগ্রহ করতে যান মনসুর আলী। এ সময় নদীর প্রবল স্রোতে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লে নদীর তীরে শত শত মানুষ ভিড় করেন।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের লিডার মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে একজন ব্যক্তি দুধকুমার নদীতে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার ইউনিট পাঠাই। এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রবিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙা ও শালঝোড় এলাকায় কালজানি নদীতে হাজার হাজার গাছের গুড়ি ভেসে আসতে দেখা যায়। পরে এ সব গাছের গুড়ি জেলার কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদেও ভেসে যায়। অনেকেই নৌকা নিয়ে গাছ ধরতে যান। এছাড়া কয়েকটি নৌকাসহ অসংখ্য গবাদী পশু পানিতে ভেসে আসে। পরে নদীতে সাপ ও পাহাড়ি আবর্জনা দেখা যাওয়ায় কেউ আর নামার সাহস পাননি বলে জানায় স্থানীয়রা।
চিলমারী উপজেলার জনৈক ব্যক্তি জানান, উজানের ঢলে রবিবার হঠাৎ করে ব্রহ্মপুত্র নদে স্থানীয়রা গাছের গুড়ি দেখতে পান ও নৌকা দিয়ে সংগ্রহ করেন। একটা সময় সাপ ও পাহাড়ি আবর্জনা দেখা যাওয়ায় কেউ আর গাছের গুড়ি সংগ্রহের সাহস পান নি।
নদী গবেষক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ভুটানের জায়গা এলাকা হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হাসিমারা বনাঞ্চল দিয়ে কালজানি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বৃষ্টির পানিতে ওই বনাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার গাছপালা ভেসে এসে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

jn

আরো দেখুনঃ