ভেড়ামারায় পাথর ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার

জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পাওনা টাকা না পেয়ে সিরাজুল ইসলাম (৫৮) নামের এক পাথর ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ভেড়ামারা শহরের নওদাপাড়া এলাকার সজনী সিনেমা হলের পিছনের নিজ ঘর থেকেই ভেড়ামারা থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত সিরাজুল ইসলাম নওদাপাড়া এলাকার মৃত নবী শেখের ছেলে।

তার মরদেহের পাশে চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা, ভেড়ামারা শহরের বামনপাড়া কাস্টমস অফিসের সামনে মৃত ছবেদ মেন্বারের ছেলে আ. সালাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বাবুপুরের মনিরুজ্জমান মনিরের নিকট ৩০ লাখ টাকা পাই। টাকা না দিয়ে মনির ও সালাম এক হয়ে আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করতে থাকে। তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও টাকা না দেওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।

নিহতের পরিবারের দাবী, তিনি আত্মহত্যা করেছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি দাবী জানিয়েছে পরিবার। সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজ জানান, ভেড়ামারা শহরের বামনপাড়া কাস্টমস অফিসের সামনে মৃত ছবেদ মেন্বারের ছেলে আ. সালাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বাবুপুরের মনিরুজ্জমান মনিরের নিকট আমার পিতা ৩০ লাখ টাকা পাই। টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও যড়যন্ত্র করে আসছিলো মনির ও সালাম। মৃত্যুর পূর্বে তার পিতা সিরাজুল ইসলাম হত্যার জন্য দায়ী হিসাবে মনির ও সালামের নাম উল্লেখ করে চিরকুটে বিস্তারিত লেখে গেছেন। মনির ও সালামের বিচার চাই।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায় মনিরুজ্জামান বলেন, মূলত আমি উনার কাছে ব্যবসায়ী লেনদেনের টাকা পাই। গতরাতে তিনি আমাকে জানান, সকাল ১০ টায় টাকা দিয়ে দেবেন। তিনি এবং আব্দুস সালাম একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। তাদের মাঝে আর্থিক সমস্যা থাকতে পারে। এর সুষ্ঠু তদন্ত করা প্রয়োজন।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।

আরো দেখুনঃ