ঈশ্বরগঞ্জে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা, মামা আটক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গলা কেটে দুই ভাগ্নিকে হত্যা করেছে মামা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীর বলসা গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত মামা মাহাবুব (২০) কে আটক করেছে। এই ঘটনায় আহত তৌহিদ নামে আরও এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলো- সায়মা আক্তার (৬) ও তৃপ্তি মনি (৪)।

জানা যায়, কাজীর বলসা গ্রামের মৃত আ: ছালামের কন্যা সালমা বিয়ে হয় নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় বাউশি ইউনিয়নের বাড়ইতাতিয়া গ্রামের রাজিবের সাথে। এই দম্পতির সাময়া নামের ৬ বছর বয়সী কন্যা রয়েছে।
এছাড়াও, মৃত আ: ছালামের অপর কন্যা হালিমার বিয়ে হয় নান্দাইল উপজেলার মোযাজ্জেমপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে। তাদের তৃপ্তি নামের ৪ বছরের কন্য রয়েছে।

গত ১০ দিন আগে সালমা ও হালিমা তাদের সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি কাজীর বলসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন তাদের সহোদর ভাই ঘাতক মাহাবুব ভাগ্নি দুই শিশু নিজ বাড়ির সামনে থেকে ডেকে ঘরে ভেতর নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে স্থানীরা তাকে ধাওয়া করলে লাশ ফেলে রেখে রক্তাত্ব অবস্থায় মসজিদে গিয়ে অবস্থান নেয় ঘাতক মাহাবুব। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তাকে আটক করা হয়।

মহাবুবের ভাই সাদেকসহ স্থানীয়রা জানান, মাহাবুব একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু মানসিকভাবে বেশ কিছুদিন ধরে বিকারগ্রস্ত ছিলেন তিনি।

এদিকে, মামার হাতে দু’ভাগ্নি হত্যার চাঞ্চল্যাকর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভীড় জমে। নিহত শিশুদের মা সালমা ও হালিমা সন্তান শোকে বার বার মুর্চে যাচ্ছে। দু’শিশু হত্যার ঘটনায় স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে।

এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়রুল হাসান খান সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, হত্যার সাথে জড়িত মাহাবুবকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি সহ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

আরো দেখুনঃ