রাজশাহীর বাগমারায় সারন্দী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ মীর জালিয়াতির মধ্যমে পূর্বের কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন পদে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় রোববার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোবারক হোসেন, সলিম উদ্দিন ও আলতাব হোসেন জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সারন্দী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলী বিদেশে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষক জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পূর্বের কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভবে অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার রংছাতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আফিল হোসেনকে পনের লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই শিক্ষক এক সাথে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছেন এবং সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে তার বেতনের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে সরকারি অর্থ আতœসাৎ করছেন। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অর্থের লোভে আফছার আলী নামে এক শিক্ষককে সমাজ বিজ্ঞান, শরীরিক শিক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ে মোট পাঁচবার নিয়োগ দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ে কৃষি, বাংলা, ইংরেজি ও সমাজ বিজ্ঞানসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত থাকা সত্বেও অর্থের লোভে উল্লেখিত পদগুলোতে গোপনে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের জন্য সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ মীর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মাহমুদ হাসান বলেছেন, এ বিষয়ে পৃথকভাবে তিনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।