বাগমারায় বিকাশ এজেন্ট (ব্যবসায়ী) সুমন হোসেনের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করার অভিযোগে তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের রসুল ফরাসীর ছেলে সোহাগ হোসেন, মঠিুর সরদারের ছেলে নাঈমুর রহমান ও কামারখালি গ্রামের মৃত সিরাজ সরকারের ছেলে নাজমুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার তাহেরপুর পৌর সভাস্থ একটি এনজিওর শাখা অফিসে রেবেকা খাতুন আয়া পদে চাকরি করেন। তারা স্বামীর বাড়ি নাটোরে এবং বাবার বাড়ি দুর্গাপুরের খাসখামার গ্রামে। এনজিওতে চাকির করার কারণে তিনি স্বামীসহ গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সেনোপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বুধবার সন্ধ্যার পর রেবেকা খাতুনের স্বামী স্ত্রীকে ওই ভাড়া বাড়িতে রেখে নাটোরে বাড়িতে যান। আর এই সুযোগে ওই এনজিও কর্মী রেবেকা খাতুন রাত ১২ পর রামরামা গ্রামের জুয়েলে হোসেনে ছেলে বিকাশ এজেন্ট (ব্যবসায়ী) সুমন হোসেনের সঙ্গে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হন। বিষয়টি টের পেয়ে পাড়ার লোকজন ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন এবং তাদের হাতেনাথে ধরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক ওই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে রেবেকা খাতুন ও সুমন হোসেনকে চড়থাপ্পড় দেয় এবং মোবাইল ফোনে তাদের ভিডিও ছবি ধারণ করে। পরে পরোকীয়দ্বয়ের কাছে চাঁদা দাবি করলে মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার সত্বে তাদের মোটা অংকের টাকা চাঁদা দেওয়া হয় বলে ওই এনজিওকর্মী রেবেকা খাতুন নিজেই বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
বাগমারা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ওই এনজিও কর্মীর মোবাইল ফোনে ছবি তুলে চাঁদা আদায় ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়েরকৃত মামলায় আটক সোহাগ হোসেন, নাঈমুর রহমান ও নাজমুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।