কুমিল্লার মুরাদনগরে মা-মেয়ের আত্মকলহে বিষপানে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত খাদিজা আক্তার (১৮) উপজেলার টনকি ইউনিয়নের জয়নাল হোসেনের ছেলে রবিউল হোসাইনের স্ত্রী। গত ১৮ই মার্চ শুক্রবার বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা করলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১মার্চ মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন খাদিজা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে দেওয়া হবে। এরই মাঝে রবিউলের সাথে খাদিজার পরিবারের মনোমালিন্য হলে ২০২২সালে সে অন্যত্র বিয়ে করে। খাদিজার মামা ইউসুফ মিয়া একাধিকবার মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। খাদিজার মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে রবিউলের নামে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিথ্যা মামলা করেন। চাকুরী বাঁচানোর জন্য দ্রুত খাদিজাকে বিয়ে করা হলেও নার্গিস আক্তার মামলা তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। এই বিষয় নিয়ে খাদিজা ও তার পরিবারের মাঝে কলহ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। দ্বন্দের জেরে গত ১৮ই মার্চ খাদিজাকে কলেজ যাওয়ার ভাড়া দেয়নি মা নার্গিস আক্তার। দিনের শেষে ঝগড়া তীব্রতর হলে বিষপান করে খাদিজা।
নিহতের স্বামী পুলিশ সদস্য রবিউল হোসাইন বলেন, বিষপানের পরদিন কর্মস্থল থেকে ছুটে যাই কুমিল্লা। স্ত্রী আমাকে বলে তার মা ও মামা তাকে হুমকি দিয়েছে তার সংসার রাখবেনা, তাই নিজের সম্মানের কথা ভেবে বিষপান করেছে। স্ত্রীর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই শাশুড়ী আমার নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে উদ্দেশ্যে প্রনোদিত হয়ে মিথ্যা মামলা করেছে তারা। রাষ্ট্রের আইন বিভাগের কাছে আমি সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে নিহতের মা নার্গিস আক্তারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।