দেবীদ্বারে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা চেষ্টা ও বাড়িঘর ভাঙচুর
দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
অভিসাপ দিয়ে হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা চেষ্টা, বাড়িঘর ভাঙচুর।
-ইউপি সদস্যসহ ২০০ জনের নামে থানায় অভিযোগ-
কুমিল্লা দেবীদ্বারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকিরকে হত্যা চেষ্টা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুরে গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনের ছোট ছেলে জিসান(৭) মাদ্রাসা মাঠে খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে মারা যায়। ওই ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকিরের অভিশাপে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের পুত্র জিসান মারা গেছে বলে মেম্বারের স্বজনরা এলাকার লোকদের ক্ষেপিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লোকজন ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে
হামলা চালায়।
মুক্তিযোদ্ধার পরিবার জানায়, সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৬ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার বাজেবাখর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধা আলফু ফকিরের নিজ বাড়িতে লোহার রড, রাম দা , লাঠি, ছেনিসহ বিভিন্ন মরনাস্ত্র দিয়ে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর চালায়।
মুক্তিযোদ্ধার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। পরে জরুরীসেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মারপিটের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবারে এই মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকির দায়ের করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকির বলেন, আমার সাথে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের সাথেই বিরোধ চলে আসছিল। তাছাড়া প্রায়ই প্রতিপক্ষরা আমার পরিবার ও আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যা করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছিল। আমার ছেলে ও নাতীরা হাটবাজার, স্কুলে কিংবা প্রাইভেট পড়তে গেলে মান্তু মেম্বারের বাড়ির লোকজন তাদেরকে গাল-মন্দ, মারধর ও বিভিন্নভাবে হয়রানী করে। মান্তু মেম্বারের নাতী জিসান পানিতে পড়ে মারা গেছে অথচ আমি অভিশাপ দিয়ে তাকে মেরে ফেলেছি বলে অভিযোগ এনে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মরনাস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ি ঘেরাউ করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। আমার অভিশাপে যদি মানুষ মারা যায় তাহলে তো ওরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে না এসে আমার ভক্ত হতে পারত। ওরা কোন কারন ছাড়াই একটি প্রভাবশালী চক্রের ইন্দনে বছরের পর বছর আমার বিরুধিতা করে আসছে।
নিহত জিসানের বাবা ও জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জানু জানায়, আমার ছেলেকে মাদ্রাসা মাঠের পাশে গর্তে পানি থেকে পেয়েছি। হাসপাতালে নিয়েছি, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। আলফু ফকির রমজান মাসে রাতে গান বাজানা করায় আমি বাদা দিয়েছি এ থেকে ক্ষিপ্ত আমার প্রতি। তবে ওনার বাড়িতে কারা হামলা করেছে আমি জানি না। আমার ছেলের লাশ দাফনের পরে সুনেছি ওনার বাড়িতে হামলা হয়েছে।
দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণধর বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যর ঘটনা সোমবার দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এস আই বাদলকে তদন্ত ভার দিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।