নড়াইলের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা পিউলী। এছাড়া দুটি মাদ্রাসার অর্ধশত ছাত্রদের মাঝে ঈদের পোষাক এবং দুজন অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও একটি সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সুযোগ্য কন্যা অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা পিউলী গত কয়েক দিন ধরে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত শিয়েরবর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের দুইশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় দুঃস্থ্য মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে পোলাও এর চাল, চিনি, সেমাই, তেল, গুড়ো দুধ, আলু, মুরগী সহ অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দেন।
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলার হান্দলা-বাড়ীভাঙ্গা মাদ্রাসা ও নলদী গাজীর দরগা হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রায় অর্ধশত এতিম ও ছাত্রদের মাঝে পায়জামা পাঞ্জাবীসহ ঈদ উপহার তুলে দেন।
এদিকে নড়াইল শহরের হতদরিদ্র যুবক আব্দুস সালামকে স্বাবলম্বী করে তুলতে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান এবং একজন হতদরিদ্র নারীর পরিবারে আর্থিক স্বচ্চলতা ফিরিয়ে আনতে একটি সেলাই মেশিন উপহার দেন।
এসব কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ সামিউল ইসলাম শরফু, অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা পিউলীর জুনিয়র আইনজীবি সোহেল রানা, শেখ সাদি, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ তৌফিক হাসান সোহান, সাবেক অর্থ সম্পাদক সজীব হাসনাত, সমাজ সেবক মোঃ ছারেজান মোল্যা, বাকি মোল্যা, জাহাঙ্গীর মোল্যা সহ অনেকে।
অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা পিউলী বলেন,‘ “পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে ভাগ করে তাদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য, আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সামান্য ঈদ উপহার তুলে দিতে পেরে অত্যান্ত ভাল লাগছে। বিগত দিনেও সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি।
আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। পাশাপাশি আমাদের সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কে আহŸান জানাই যার যার সামর্থ অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসার জন্য, যেন অন্তত বছরে দুটি ঈদ সহ অন্যান্য সময়ে এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়।”