খাগড়াছড়িতে বিজিবির অভিযানে ১৯ লাখ ২৭ হাজার টাকার অবৈধ কাঠ আটক করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সেক্টরের আওতাধীন ৩২ বিজিবির জোয়ানরা এসব কাঠ আটক করে। আটককৃত কাঠের মধ্যে সেগুন, গামারী, গর্জন, কড়ই, জাম গাছের পাশাপাশি চাপালিশ গাছও রয়েছে।
শনিবার খাগড়াছড়ি ৩২ বিজিবি জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদুল হক পিএসসির নির্দেশনায় এসব কাঠ আটক করা হয়। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জেসিও নায়েক সুবেদার মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি জোয়ানরা এসব কাঠ আটক করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের টহল দল কর্তৃক খাগড়াছড়ি সদর থানার অনিলকুমার পাড়া নামক এলাকায় পানছড়ি মুসলিম পাড়া ও কানুনগো পাড়া হতে আসা ৪টি কাঠ বোঝাই ট্রাক তল্লাশি করলে তারা কোন বৈধ চালান বা কাগজ দেখাতে পারেনি। তৎক্ষনাৎ ১৪১৩ পিস বিভিন্ন প্রকারের গোল কাঠ আটক করা হয়। এর মধ্যে সেগুন, গামারী, গর্জন, কড়ই, জাম এবং চাপালিশ গাছও রয়েছে।
আটককৃত কাঠের মধ্যে ৯৩৮ পিস (১১৯৪ ঘনফুট) সেগুন, ৪৩৪ পিস (৬৩৮ ঘনফুট) গামারি, ৩২ পিস (৮০ ঘনফুট) গর্জন, ৯ পিস (২৩ ঘনফুট) চাপালিশ, ৮ পিস (১৯ ঘনফুট) জাম এবং ২ পিস (৬ ঘনফুট) কড়াই কাঠ রয়েছে।
অবৈধ কাঠ পাচারের বিষয়ে পানছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন। এরপর ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
খাগড়াছড়ি ৩২ বিজিবি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘খাগড়াছড়ি টহলদলের তড়িৎ কর্মতৎপরতায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কাঠ পাচার রোধ করা সম্ভব হয়েছে। কিছু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের কিছু সদস্যের সম্পৃক্ততায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা হতে কাঠ পাচার করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটককৃত কাঠ বর্তমানে পানছড়ি বন বিভাগে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ এছাড়াও কাঠ পাচার রোধে বিজিবির এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com