শান্তনু হাসান খান।।
আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবার নড়েচড়ে বসছেন। সারা দেশে ৪৮১টি উপজেলায় ৪ ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করতে চায় সি.ই.সি-স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে। শহরের অনেক জায়গাতে ইভিএম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রার্থীরা রঙ্গিন পোষ্টার ছাপতে পারবেন। পাশাপাশি ফেইজবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা ব্যক্তিগত প্রচারনা চালাতে পারবেন। এছাড়াও ২০০ জনের প্রতিস্বাক্ষরের বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৭ই এপ্রিল প্রথম ধাপের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচন হবে ৮ই মে। সেই আলোকে এবার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির ০৯টি উপজেলার মাঝে গুইমারা ছাড়া সবকটিতে কয়েক ধাপে নির্বাচন করতে যাচ্ছে স্থানিয় প্রশাসন। রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, মহালছড়ি, দিঘীনালা নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি আরো কয়েকজন নতুন প্রার্থী লড়বেন। তবে মানিকছড়িতে ত্রিমুখী লড়াইয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনের পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হামিদ থাকছেন।
২৬ বছরে তারুণ্যের প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুল হামিদ বেড়ে উঠেছেন মানিকছড়িতে। পড়াশোনাটা এখানেই শুরু, শেষ করেছেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে। উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হিসেবে তার একটা গ্রহণ যোগ্যতা রয়ে গেছে। ছাত্র অবস্থায় কোন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি করেন নি। সবসময় মানুষের পাশেই ছিলেন। মানুষের জন্য কাজ করেছেন। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে আরো কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড তথা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল কনসেপ্টকে বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে কাজ করার চেষ্টা করে যাবো আমার সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকেই। পাশাপশি যুব সম্প্রদায়কে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবো আমার মাননীয় এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যে থেকে। হামিদ বলেন, এখানকার উচ্চ শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমি সর্বপ্রথম মাথায় রাখবো। কেননা এখানকার ছেলেরা বাইক চালিয়ে রুটি রুজির বিষয়টা খুব কষ্টের এ বিষয়টাকে প্রাধন্য দিবো। পাশাপাশি ভোকোশনাল ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট করে মানিকছড়িকে আরো এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। আব্দুল হামিদ আরো বলেন, ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার অনেক সুযোগ আছে। এছাড়াও রয়েছে পর্যটন শিল্পের বিকাশ
ঘটাবার সুগম পথ। মানিকছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন ও নতুন প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নির্বাচনের মাঠে বেশ আলোচিত ও সমালোচিত। তবে ০৪টি ইউনিয়নে বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। এর মাঝে সনাতন ধর্মী তথা উপজাতি ভোটার প্রায় ১৫ হাজার।
পরিশেষে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহম্মদ আব্দুর হামিদ বলেন, পরিবর্তনের লক্ষ্যে টেকসই মাধ্যমে আধুনিক মানিকছড়ি উপজেলা পরিবর্তন আনতে চাই। এতে জনগনের সহযোগিতা কামনা করি এবং ভোটের দিন সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রয়োগ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। কেননা এবার জন নেত্রী শেখ হাসিনা আগেই ঘোষনা দিয়েছেন, দলীয় প্রভাবও মার্কা ছাড়া যার যার যোগ্যতায় উঠে আসবে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে।