আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবার নড়েচড়ে বসবেন। সারা দেশে ৪৮১টি উপজেলায় ৪ ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করতে চায় স্থানীয় প্রশাসন। শহরের অনেক জায়গাতে ইভিএম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রার্থীরা রঙ্গিন পোষ্টার ছাপতে পারবেন। পাশাপাশি ফেইজবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত প্রচারনা চালাতে পারবেন। এছাড়াও ১০০ জনের প্রতিস্বাক্ষরের বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১৭ই এপ্রিল প্রথম ধাপের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন এবং নির্বাচন হবে ৪ মে।
সেই আলোকে এবার পাবর্ত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাচনে মাত্র ৩ জন প্রার্থী মাঠে আছেন। এর মাঝে উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা রফিকুল ইসলাম জনগনের পছন্দের তালিকা রয়েছেন, পাশাপাশি তাজুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া। তবে গ্রহণযোগ্যতা মাপ কাঠিতে রফিকুল ইসলাম অনেকটাই পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার অতীতের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার সামাজিক কর্মকান্ডের উপর বিশ্লেষণ করে জনগন এবার আমাকে পুনরায় জয়যুক্ত করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাসের উপরে ভর করে আমি নির্বাচনের মাঠকে গুছিয়ে রেখেছি। সুষ্ঠু এবং অবাদ নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ- আমি উঠে আসবো দ্বিতীয় বারের মতো।
৪৮ বছরের রফিকুল ইসলাম বেড়ে উঠেছেন মাটিরাঙাতে। পড়াশুনা করেছেন মাটিরাঙাতে। তার বাবা মরহুম মনছুর আলী একজন সনামধণ্য ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একসময় আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতেন। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে রফিকুল ইসলাম আওয়ামীলীগৈর নেতৃত্ব দিচ্ছেন দীর্ঘদিন মাটিরাঙাতে। পররিবারিক ভাবে সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত। তিনি বলেন আমার চলতি দায়িত্বে উপজেলা পরিষদের সকল কাঠামো ডেকোরাম মেনে সফলভাবে বিগত কয়েক বছর এলাকাতে কাজ করেছি জনগণের জন্য। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আগামীতে সরকারের সকল নির্দেশে আর কর্মকান্ড পরিচালনা করে মাটিরাঙার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাতে ৮৮ হাজার ভোটারদের জন্য কাজ করতে চাই। এইদিকে মাটি রাঙায় ২৫ হাজার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অবস্থানকে আরো সোহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রতিরি মধ্যে বজায় রেখে তাদের অধিকার নিশ্চিত করবো। তিনি বলেন মাটিরাঙার মানুষদের মাঝে আর্থ সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য এখানে পর্যটন শিল্পে বিকাশ ঘটাতে পারলে অনেকে কর্মসংস্থান ঘটবে।
পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে মাটিরাঙায় একধাপ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন আগামীতে আলুটিলা ও ভগবানটিলা পর্যটন কেন্দ্রকে আরো নন্দিত করার জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যঅহত থাকবে তিনি বলেন নির্বাচিত হলে এলাকার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড তথা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল কনসেপ্টকে বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে কাজ করার চেষ্টা করে যাবো। পাশাপশি যুব সম্প্রদায়কে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবো। হত দরিদ্র নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করার ইচ্ছা রাখি। এখানকার নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে চেষ্টা করবো। পরিশেষে তিনি বলেন মাদক, সন্ত্রাস, চাদাবাজী সহ কিশোর গ্যাংয়ের অশুভ তৎপরাকে সমাজ থেকে উপড়ে ফেলবো- সেটা অবশ্যই জনগণকে সম্প্রক্তি করে।
এদিকে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান আবু কাশেম ভূইয়া বার বার বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনোই তিনি কোন চেয়ারে বসতে পারেন নি। বির্তকিত এই মানুষটি এবারও নির্বাচনে আসবেন বলে আমাদেরকে জানান। পাশাপাশি তাজুল ইসলামও নির্বাচনে থাকতে চান। তবে মূল কথা ৮৮ হাজার ভোটরদের মঝে অন্তত ২৫% নবীন এবং তরুণ ভোটাররা আগামীতে পুনরায় রফিকুল ইসলামকে মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে একাট্টা।