সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী।।
গোডাউনে রক্ষিত মালামালের সাথে এলসির কাগজপত্রের মিল না থাকায় সৈয়দপুরের বিউনি সাইকেল ষ্টোর এর ১১টা গোডাউন সীলগালা করে কাগজপত্র জব্দ, এসময় ম্যানেজার সম্রাটকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ। এ খবর দ্রুত ছরিয়ে পড়ার সাথে সাথে অন্যান্য শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও এলসিতে মালামাল আমদানি কারকদের মধ্যে অতঙ্ক বিরাজ করে। অভিযান এড়াতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সরে পড়ে ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে। ২৯,৩০,৩১ শে আগষ্ট ৩ দিনের এই অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমকে এখনও কোন তথ্য দেয়নি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, বিউটি সাইকেল ষ্টোরসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। গত ০৩ দিনের থম থমে অবস্থার মধ্যে ৩১ শে আগস্ট সৈয়দপুর শহরের ইকো হেরিটেজ হোটেলে রাত সাড়ে ৯ টা থেকে মধ্য রাত পযন্ত এই সকল ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীরা একটি গোপন মিটিং করে। কিভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি দলকে শিল্প নগরী সৈয়দপুর থেকে সরানো যায়। সূত্রে আরো জানায়, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ এর সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ডাবলুকে নিয়ে অভিযুক্ত সৈয়দপুরের বিউটি সাইকেলের ষ্টোরের মালিক মোঃ আলতাব হোসেন, সানিটা সিরামিক্স, সুশীল কুমার সৈয়দপুরের রানু এগ্রো, রাজু পোদ্দার, সেলিম ফ্রুট, আমিনুল মিল, খিলকাটি ফ্যাক্টরির মালিক, সহ একাধিক ব্যবসায়ী। তারা সকলে যে কোনো মূল্যে সরকারের অভিযানকে ব্যাহত করতে গোপন শালা পরামর্শ করেন বলে একাধিক ব্যক্তি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিউটি সাইকেল ষ্টোর এর মালিক ও সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আলতাব হোসেন এর মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সৈয়দপুরে অভিযানে দায়িত্বে থাকা এক রাজস্ব কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, বিউটি সাকেল ষ্টোরের ১১টি গোডাউনে মালামালের সাথে কাগজপত্রের মিল নেই। আনুমানিক ২ শত কোটি টাকার মালামাল থাকতে পারে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশি কিছু বলা যাবে না।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ এর সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ডাবলু ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে জানান, মিটিং হয়েছে সত্য তবে গোপন নয় ওপেন মিটিং হয়েছে ব্যবসায়ীদের সাথে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যদি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জুলুম অত্যাচার করে তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেব। আমরা নীলফামারীর ৪ এমপি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে ওপেন মিটিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ ঠিক হয়নি। ব্যাংক থেকে বেশি সুদে লোন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা এমনিতেই অসম্ভব হয়ে গেছে, এর উপরে এনবিআর এর জুলুম অত্যাচার। তবে বিউটি সাইকেল স্টোরে দূর্নীতি ও কর ফাকি দেওয়ায় বিষয়টি জানতে চাইলে চেম্বার সভাপতি কৌশলে এড়িয়ে যান। বলেন, কে কি ভাবে ব্যবসা করছে এটা তার নিজস্ব ব্যাপার।