নীলফামারী প্রতিনিধি।।
দাঁতের প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে নীলফামারী ডোমার বাজারের সাহা পাড়া মাদার ডেন্টাল কেয়ারের চিকিৎসক ডা: মো:রাসেল আহমেদ এর কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন মোহাম্মদ হাসান। ডা: মো: রাসেল আহম্মেদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুগী মোঃ হাসান কে বাসায় পাঠিয়ে দেন, এর পরে বাসায় কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিটি দাঁতে ইনফেকশন শুরু হয় এবং প্রচন্ড ব্যথায় অস্থির হয়ে পড়েন। এলাকা বাসী তাকে জানান, সঠিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা না নিয়ে মাদার ডেন্টাল কেয়ারের ডা: রাসেল আহমেদের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন তিনি। এই ঘটনা বুঝতে পেরে নীলফামারী ডোমার উপজেলার বোড়াগারি থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে যান। রংপুরের একটি ক্লিনিকের ডাক্তার অপচিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করে নতুনভাবে চিকিৎসা দিলে তিনি সুস্থ হন।পরে তিনি নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর মাদার ডেন্টাল কেয়ারের ভুয়া ডাক্তার ডা:মোঃ রাসেল আহমেদ ডি,এম,টি ডেন্টাল সরকারি (আই এইচ টি) প্রযুক্তিবিদ এর বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ থাকে ডাক্তারি সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সঠিক কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়া এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মাদার ডেন্টাল কেয়ারে ভুয়া ডাক্তার মো: রাসেল আহম্মেদ আলতাফের মা র দাঁত উঠালে প্রথমে দাঁতে ইনফেকশন ও পরে ক্যান্সার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এলাকাবাসীর দাবি ডোমারে অপচিকিৎসক ডা: মোহাম্মদ রাসেল এর সার্টিফিকেট তদন্ত ও প্রয়োজনীয় শাস্তি দাবি করেছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মাদার ডেন্টাল কেয়ারের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
অপর দিকে নীলফামারীর ডোমারে অপচিকিৎসার অভিযোগে রুবাইয়া ডেন্টাল কেয়ার এন্ড কিউরে তদন্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মমিনুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগীর সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় তদন্ত করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৪সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি।
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অর্থোপেডিক্স সার্জন ডা. হযরত আলী তদন্ত কমিটির প্রধান। অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুল হাসান নোবেল, ডা. জওহার অন্যান্যা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ আল-আমীন রহমান।
অভিযোগে জানা যায়,মমিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি দাঁতের ব্যথা নিয়ে রুবাইয়া ডেন্টাল কেয়ার এন্ড কিউরের চিকিৎসক মো: সুমন রহমানের কাছে যায়। সুমন রহমানের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার পর ভুক্তভোগীর দাঁতের ব্যথা বেড়ে গিয়ে বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. হযরত আলী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে রুবাইয়া ডেন্টাল কেয়ার এন্ড কিউরে তদন্ত করা হয়েছে। এখানে এক্স-রে করার কথা উল্লেখ থাকলেও কোন এক্স-রে মেশিন পাওয়া যাওয়া নাই। চিকিৎসার জায়গার সংকুলানসহ বেশ কিছু অসংগতি দেখা গেছে। তদন্ত রিপোর্ট সিভিল সার্জন বরাবরে দ্রত জমা দেওয়া হবে। এরপর পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এফআর/অননিউজ