নীলফামারী প্রতিনিধি।
নীলফামারী ডোমার উপজেলায় দন্ত চিকিৎসার নামে চলছে অপ চিকিৎসা কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুবাইয়া ডেন্টাল ক্লিনিকের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এরই মধ্যে দাঁতের প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে নীলফামারী ডোমার বাজারের সাহা পাড়া মাদার ডেন্টাল কেয়ারের চিকিৎসক ডা: মো:রাসেল আহমেদ এর কাছে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ চিকিৎসা নিতে আসেন মোহাম্মদ হাসান। ডা: মো: রাসেল আহম্মেদ চিকিৎসা শেষে রুগী মোঃ হাসান কে বাসায় পাঠিয়ে দেন, এর পরে বাসায় কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিটি দাঁতে ইনফেকশন শুরু হয় এবং প্রচন্ড ব্যথা ও মুখ ফুলে যাওয়ায় অস্থির হয়ে পড়েন। এলাকা বাসী তাকে জানান, মাদার ডেন্টাল কেয়ারের ডা: রাসেল আহমেদের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন তিনি।
অন্যত্র চিকিৎসা দিলে তিনি সুস্থ হন।পরে তিনি নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভি্যোগ করেন।
মাদার ডেন্টাল কেয়ারের ডা:মোঃ রাসেল আহমেদ ডি,এম,টি ডেন্টাল সরকারি (আই এইচ টি) প্রযুক্তিবিদ এর বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ থাকে ডাক্তারি সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সঠিক কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
এলাকা বাসী জানায় ডোমার বাজার চান্দিনা পাড়া মসজিদের পাশে আলতাবের মা মাদার কেয়ারে চিকিৎসা নিতে এসে অপ চিকিৎসার শিকার হয়ে মুখে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোড়া গাড়ি মেডিকেলের এক স্টাফ ডা:মোঃ রাসেল আহমেদ কাছে চিকিৎসা নিয়ে এখন মুখের সমস্যায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে ডা:মো: রাসেল আহম্মেদ জানান, এরকম কোন ব্যক্তি অভি্যোগ দিতে পারে আমার জানা নেই , হাচান নামে আমার কোন রুগী ছিলনা, ১১ সেপ্টেম্বর ডা: রাসেল আহম্মেদের স্বাক্ষরিত ব্যবস্থাপত্র দেখালে। তিনি বলেন এ অভি্যোগ দিয়েছে। দাড়ান আমার ছেলের সাথে আগে কথা বলি বলে মুঠোফোন কেটে দেন।
পরে তিনি মুঠোফোনে জানান তার ব্যবস্থাপত্র এডিট করে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বোড়াগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে অভিযোগকারী ব্যক্তিকে ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন । তিনি শুধু মাত্র মুখ ওয়াস করে ছিলেন। ইনফেকশন হওয়ার কথা না।
অপর একটি সূত্র জানায় কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই সিদ্দিক প্রধান বেলি ডেন্টাল কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা করে আসছেন এছাড়া ৩ ও ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যবসা করছেন আরঙ্গজেব বাবু, দুর্গা দাস রায়, কামরুজ্জামান সবুজ।