কুমিল্লার গৌরীপুরে চাঞ্চল্যকর যুবলীগনেতা জামাল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় এজহারনামীয় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বোরকা ব্যবহার করে হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, মাঠ পর্যায় হতে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এজহারনামীয় ৯ আসামীর মধ্যে গত ৬ মে চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ এলাকা, ঢাকা জেলার রায়েরবাগ এলাকা ও কালশী, মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় ৩ নং আসামী কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার জিয়ারকান্দি গ্রামের মোঃ ইসমাইল, ৪ নং আসামী মনাইরকান্দি গ্রামের মোঃ শাহীনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার এবং ৭ নং আসামী দাউদকান্দি থানার গোপচরের শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলমকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের মধ্যে একজনকে দেশে আত্মগোপনে রয়েছে এবং অন্য ৫জন বিদেশে পলায়ন করেছে।
তিনি আরোও বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জামাল হত্যার বিষয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। ঘটনার সময় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বেও ১০ মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।