নওগাঁর সাপাহারে চলছে দাবদাহ। প্রচন্ড গরম ও অনাবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন আম চাষিরা। তীব্র রোদের কারণে মাটির রস শুকিয়ে গেছে।সেচ ব্যবস্থা না থাকার কারনে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম।এই অবস্থা চলমান থাকলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আমচাষীরা।
সাপাহার উপজেলায় ৯ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার আংশিক এলাকায় এক সময় বৃষ্টিনির্ভর একটিমাত্র ফসল আমন ধান হতো। তবে মৌসুমী ফল আম চাষে ঝুঁকে পড়েছে এলাকার কৃষক।
এখন ধান ছেড়ে মানুষ আম বাগানে ঝুঁকছেন। এ মৌসুমে খরায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আম বাগানে সেচ দিতে না পারায় বোটা শুকিয়ে আম ঝড়ে পড়ছে।আম গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আম পড়ে আছে। চলতি বছরে আমের পর্যাপ্ত পরিমাণ গুটি আসলেও অতিমাত্রায় খরার কারনে সেসব গুটি গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। এছাড়াও গাছে থাকা আমগুলোতে কালো দাগ দেখা যাচ্ছে। রসের অভাবে আমের বোঁটাগুলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। যার ফলে ধারণক্ষমতা না থাকায় বোঁটা থেকে আম খসে পড়ে যাচ্ছে। গত বছরে এই উপজেলার আমচাষীরা লাভবান হলেও বর্তমানে অনাবৃষ্টির কারনে আশঙ্কায় দিন গুণছেন তারা।
সাপাহারের আমচাষি তছলিম উদ্দিন বলেন, এভাবে আম ঝড়ে পড়লে লোকসান গুণতে হবে।
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে জানান,, এই অবস্থায় গাছের গোড়ায় পানি সেচ দেওয়ার বিকল্প নেই। তবে আম গাছেও পানি স্প্রে করা যেতে পারে। প্রতি ১লিটার পানি সাথে ১গ্রাম বোরন মিশ্রিত করে সেই পানি স্প্রে করলে আম ঝরা কিছুটা রোধ হতে পারে।