নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছে। এসময় বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। গত রোববার বিকেলে সনমান্দি ইউনিয়নের ইমানেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার বিকেলে আহত নারী শরীফা আক্তার বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সনমান্দি ইমানের কান্দি গ্রামের মো. উজ্জল মিয়ার সঙ্গে পাশ্ববর্তী দোলোয়ারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার বিকেলে দেলোয়ারের সঙ্গে মো. উজ্জলের স্ত্রী শরিফা আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দেলোয়ার লোহার রড নিয়ে উজ্জলের বাড়িতে হামলা করে। এসময় উজ্জলের স্ত্রী শরিফা আক্তার, জ্বা নিলুফা আক্তার, ছেলে সজিবকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও সবজি গাছ কেটে ফেলে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত শরীফা আক্তার বাদি হয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেলোয়ার হোসেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে থাকে। তার ভয়ে এলাকাবাসী তটস্থ থাকে। বিভিন্ন সময়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মানুষকে হয়রানী করে থাকে।
অভিযুক্ত দেলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উজ্জলের সঙ্গে তার দ্বন্ধ। এ জমি তার। উজ্জল তার জমি দখল করে রেখেছে। তবে নারীদের ওপর হামলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেলোয়ার পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন না। কেউ পুলিশের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শান্ত/অননিউজ