ছাত্রলীগ নেতাসহ ডাকাতি মামলায় ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ( নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অপু চন্দ্র ঘোষ দলীয় নাম বিক্রি করে ও সোনারগাঁ থানা পুলিশকে মেনেছ করে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা অপকর্ম করলেও এবার ডাকাতি মামলায় তার ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হলো বন্দর ফাঁড়ী পুলিশের হাতে।
এক প্রবাসীর গাড়ি থেকে ১৭ লাখ টাকা ও একটি আইফোন ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল আমলী আদালতে।
গ্রেপ্তারকৃত তপু চন্দ্র ঘোষ সোনারগাঁ থানার ছোট অজুর্নদী এলাকার সাধব চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তার বাকি সহযোগীরা হলেন, সোনারগাঁ থানার বড়নগর এলাকার শুবংকর চন্দ্র রাজ বংশী ছেলে কৃষ্ন চন্দ্র রাজ বংশী (৩২), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার খাজা আশ্রমপাড়া এলাকার চাঁন শেখ মিয়ার ছেলে এরশাদ (২৪), ছোট অজুর্নদী এলাকার জাকির হোসেন মিয়ার ছেলে রোহান (২১)।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল দুপুর পৌনে ২টায় বন্দর উপজেলার হাজী সাহেবের মোড় এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২ দিন পর প্রবাসী উজ্জল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২(৪)২৩। ১৩ মে গভীর রাতে সোনারগাঁ থানার মোগড়াপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছে।
আরো জানাযায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়িতে যত ডাকাতি হয়েছে তার মূল হোতা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এই অপু চন্দ্র ঘোষ।এছাড়াও সে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজারে পথচারীদের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে ও অন্য ফুটপাত দখলকারিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন প্রকাশ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভাংঙ্গারি ব্যবসায়ী বলেন, গত দুই বছর আগে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তার ৩ সহযোগী।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানায়, ‘ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ক্যামেরা, কল রেকর্ড, সিএনজি চালকের বয়ান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্তসহ নানা বিষয় তদন্ত করেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটির সাথে ৬ জন জড়িত ছিল, কে কত টাকার ভাগ পেয়েছে, কার কি ভূমিকা ছিল; এটার প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত স্বীকার করে গ্রেপ্তারকৃতরাও আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি, সে ছাত্রলীগ নেতা। অনেকে তাঁর জন্য ফোনও দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা টাকা লুটের সাথে শতভাগ জড়িত। তাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলাটি ছিনতাই থেকে ডাকাতি হিসেবে গণ্য কারা হচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।