আইসল্যান্ডে আগ্নেয়েগিরির অগ্নুৎপাত
অনলাইন ডেস্ক।।
আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকের দক্ষিণে সোমবার রাতে ভূমিকম্পের পর আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (আইএমও) এ কথা জানিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নর্ডিক দেশটি দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপে তীব্র ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের পর যে কোনও মুহূর্তে সম্ভাব্য অগ্নুৎপাতের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। পরে গত মাসে লোকদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করেছিল।
আইএমও বলেছে, ‘গত রাত ১০টা ১৭ মিনিটে রিকজেনেস উপদ্বীপের গ্রিন্ডাভিকের উত্তরে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে।’ আইএমও বলেছে, এটি কাছাকাছি ওয়েবক্যাম থেকে দেখা যাবে। অগ্নুৎপাতের লাইভ-স্ট্রিম করা ফুটেজে দেখা গেছে, উজ্জ্বল কমলা লাভার বড় জেটগুলো রাতের আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। চারপাশে লাল ধোঁয়ায় ঘেরা।
আইএমও বলেছে, ‘অগ্নুৎপাতের সঠিক অবস্থান এবং আকার নিশ্চিত করার জন্য একটি কোস্টগার্ড হেলিকপ্টার শীঘ্রই উড্ডয়ন করবে।’ নভেম্বরে হাজার হাজার ছোট ভূমিকম্পে রিকিয়াভিকের দক্ষিণের অঞ্চলটি কেঁপে ওঠে।
রাজধানী থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি মৎস্য বন্দর গ্রিন্ডাভিকের প্রায় ৪,০০০ বাসিন্দাকে ১১ নভেম্বর সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল যখন কর্মকর্তারা নির্ধারণ করেছিলেন যে, তাদের মাটির নীচে ম্যাগমার একটি টানেল স্থানান্তরিত হচ্ছে।এতে একটি অগ্নুৎপাতের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাসিন্দারা এএফপি’কে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে রাস্তা ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর থেকে তাদের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দিনের আলোতে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যাদের বাড়িঘর সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশে রয়েছে তাদের পোষা প্রাণী থেকে শুরু করে ফটো অ্যালবাম, আসবাবপত্র এবং পোশাক সবকিছু উদ্ধার করার জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের মাঝে মাঝে গ্রামে ভ্রমণের আয়োজন করেছেন।
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত আইসল্যান্ডে অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। সেখানে ৩৩টি সক্রিয় আগ্নেয়েগিরি সিস্টেম রয়েছে, যা ইউরোপে সর্বোচ্চ সংখ্যা। কিন্তু রিকজেনেস উপদ্বীপে ২০২১ সাল পর্যন্ত আট শতাব্দী ধরে অগ্ন্যুৎপাত হয়নি।
তারপর থেকে তিনটি অগ্নুৎপাত ঘটেছে। সবই প্রত্যন্ত জনবসতিহীন এলাকায় এবং আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এই অঞ্চলে আগ্নেয়গিরি কার্যকলাপের একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।
রিকজেনেস উপদ্বীপের ফ্যাগ্রাডালসফজাল আগ্নেয়গিরির কাছে পূর্ববর্তী অগ্নুৎপাত ২০২১, ২০২২ এবং এই বছরের শুরুতে হয়েছিল।
সূত্র: বাসস
এফআর/অননিউজ