আবরারের মা ও ভাই যাবজ্জীবন পাওয়া অমিতের ফাঁসি চান
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ায় পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষণার পর মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, হত্যায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল অমিত সাহা। তার ফাঁসি চাই। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পরিবার।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। তবে যে ৫ জনের যাবজ্জীবন দÐ হয়েছে তাদেরও ফাঁসি চান আবরারের মা।
কুষ্টিয়ায় পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষণার পর মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার সেই ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারল। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।
২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা যে সবসময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন অল্প সময়ে কার্যকর হয়।
আবরারের ভাই আবরায় ফায়াজ বলেন, অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসি হবে, এমনটি চেয়েছিলাম।
তবে, ২০ জনের যে ফাঁসি হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব। রায় ঘোষণার আগে থেকে বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। এসেছেন অন্য আত্মীয়-স্বজনরাও।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24