আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২ থেকে ৪টাকা
চাহীদা বাড়ার কারনে পেয়াজের আমদানি বাড়ায় আবারো দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারীতে পেয়াজের দাম কমেছে প্রকারভেদে কেজিতে ২ টাকা থেকে ৪ টাকা করে। এদিকে পেয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে কিনতে আসা পাইকাররা।হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে, ইন্দোর ও নাসিক এই দুইজাতের পেয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে। বন্দরে পাইকারীতে (ট্রাকসেল) ইন্দোর জাতের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৭ টাকা থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। যা দুদিন আগেও বন্দরে ৩০ টাকা থেকে ৩১টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আর নাসিক জাতের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে যা আগে ৩২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি যেমন কমেছিল তেমনি দাম বাড়তির দিকে ছিল। এতে করে পড়তা না থাকায় লোকশানের আশংকার পেয়াজ ক্রয় করা থেকে বিরত ছিলাম। তবে গতকাল থেকে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি বাড়ার কারনে পেয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে যার কারনে আবারো পেয়াজ ক্রয় করে মোকামে পাঠানো শুরু করেছি।হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন ও পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ভারতের বাজারে পেয়াজের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই মুল্যে পেয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে কম দামে পেয়াজ বিক্রি করায় আমদানিকারকদের লোকশান গুনতে হতো। যার কারনে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন আমদানিকারকরা। এর উপর গত শনিবার ভারত অভ্যন্তরে বন্দরের প্রধান সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় সবগুলো পেয়াজের ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে পারেনি যার কারনে চাহীদার তুলনায় সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে ছিল। পেয়াজের বাড়তি সেই চাহীদাকে ঘিরে আমদানি বাড়িয়ে দেওয়ায় বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথের ওয়াগনের পেয়াজ ঢোকার কারনে দেশের বাজারে পেয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে, পুর্বে বন্দর দিয়ে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক পেয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে বন্দর দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। ২আগষ্ট বৃহস্পতিবার যেখানে বন্দর দিয়ে মাত্র ৬টি ট্রাকে ১৭২টন পেয়াজ আমদানি হয়েছিল।সেখানে শনিবার বন্দর দিয়ে ২০টি ট্রাকে ৫৬১টন, রবিবার বন্দর দিয়ে ৩০টি ট্রাকে ৮৫১টন, সোমবার বন্দর দিয়ে ২৯টি ট্রাকে ৮৫১টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। আজো বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচামাল দ্রুত পচনশীল তাই কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করে অতি দ্রুত বন্দর থেকে ছাড়করনের ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ।
জেনিফার___________৭ সেপ্টেম্বর ২১