ইভটিজিংয়ের ছুতোয় স্কুলে বহিরাগতদের হামলা, আহত আট
অনলাইন ডেস্ক।।

নিকুমিল্লায় এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের ছুতোয় বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বহিরাগত একদল কিশোর। তাদের আক্রমণে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ আট জন আহত হয়েছেন। এসময় বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ইভিটিজিং করার অভিযোগ আনা হয় একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে তুলে নিতে আসে ছাত্রীর ভাইসহ পাঁচ জন। এ সময় তাকে না পেয়ে নবম শ্রেণির অন্য দুই ছাত্রকে তারা বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে মারধর করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বাধা দিলে তার ওপরেও হামলা চালানো হয়। বিষয়টি বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বহিরাগতের ওপর চড়াও হয়। হামলার ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ও গণিত বিভাগের শিক্ষক জহিরুল ইসলামসহ দুই পক্ষের প্রায় আট জন আহত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বহিরাগত কিশোরদের দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মুরাদনগর থানা পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বহিরাগতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির সাবেক দাতা সদস্য শাহজাহান খান বাবুল বলেন, স্কুল ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর কিছু ঘটে থাকলে সেটা দেখার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। এইভাবে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের টেনে বাইরে বের করে এনে মারধর মোটেও কাম্য নয়। এই মবের সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ইভটিজিংয়ের অভিযোগের বিষয়টি আমরা কেউ জানিনা। এমন ঘটনা ঘটে আমাদের আগে জানানো উচিত ছিলো। যারা শিক্ষার্থীকে তুলে নিতে এসেছিলেন, তাদের বলেছিলাম অভিযোগ দিতে। কিন্তু তারা তা না করে দুই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বাইরে এনে মারধর করে। প্রতিবাদ করলে আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুর রহমান জানান, বহিরাগত পাঁচ জনকে থানায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কিছু শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। তারা এলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফোনে জানালে এসিল্যান্ডকে সেখানে পাঠাই। যেহেতু এটা মোবাইল কোর্টের আওতায় আসেনা, সেজন্য মুরাদনগর থানার ওসিকে বিষয়টা দেখার জন্য বলা হয়েছে।
সূত্রঃ ekattor
আই/অননিউজ২৪।।