কালীগঞ্জ পুলিশের চোখে পলাতক আসামী ইউএনও’র সঙ্গে অভিযানে
এম এ কবীর, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ।।
পুলিশের চোখে পলাতক। অথচ অপহরণ মামলার প্রধান আসামী রুবেল কাউন্সিলর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ছাড়া প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি সবাইকে হতবাক করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিনের সঙ্গে আসামী রুবেলের অভিযানের ছবি মঙ্গলবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিতর্ক ও তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার বিকালে “ইউএনও কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ” এর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে অপহরণ এবং মারপিট মামলার প্রধান আসামী রুবেলকে ইউএনও সাদিয়া জেরিনের সঙ্গে অনিয়মতান্ত্রিক পার্কিং, যানজট ও ফুটপাত দখলে সচেতনতা মুলক অভিযানে অংশ নিতে দেখা যায়। আসামী রুবেল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহরের খয়েরতলা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমিত সাহা বিষুকে অপহরণ ও মারপিট করে। এ ঘটনায় তার মা শ্রীমতি ইতি শিকদার কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন, যার মামলা নং ১৮/২২। মামলায় প্রধান আসামী রুবেলসহ চার জনকে আসামী করা হয়। এ
বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ভবতোষ রায় জানান, এই মামলার ৩ আসামী আদালত থেকে ইতিমধ্যে জামিন নিলেও প্রধান আসামী রুবেল কাউন্সিলর জামিন নেননি। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আসামী রুবেলের সম্পৃক্ততা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থাকায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশ সেদিনকার কল রেকর্ড (সিডিআর) তলব করেছে। সেটি পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমার সামনে কখনো রুবেল পড়েনি, তিনি পুলিশের চোখে পলাতক। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রধান আসামী কাউন্সিলর রুবেল মিয়া জানান, আমার নামে যে থানায় মামলা হয়েছে তা আমি জানি না। আর যদি কেউ করে থাকেন তবে সেটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমুলক। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী
এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মিনা জানান, অপহরণ ও মারপিট মামলার পলাতক আসামী ইউএনও বা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো অপরাধ ও গর্হিত কাজ। আসামীকে হয় জামিন নিতে হবে, নাইলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে। তিনি বলেন কালীগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত সাহাকে অপহরণের পর মারপিট করা মামলার আসামী কি ভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা বোধগম্য নয়। এতে মানবাধিকার খর্ব হয়।