কুড়িগ্রামে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের হামলায় ৩জন আহত

কুড়িগ্রামের যাত্রপুর এলাকায় গভীর রাতে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের হামলায় নারীসহ ৩জন আহত হয়েছে। আহতদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কালির আলগা (মন্ডলপাড়া) গ্রামের চাঁন আলী সরকারের বাড়িতে এস আই জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে ৫/৬জন পুলিশ এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।

চাঁন আলী সরকার অভিযোগে বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে নিত্যদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ি। রাত পোনে বারোটার দিকে একদল পুলিশ দরজা ভেঙ্গে আমার ছেলে আল আমিনের ঘরে ঢুকে এলোপাথারি ডাংমাইর শুরু করে। এতে আমার ছেলে রক্তাত্ব হয়। ছেলেকে বাচঁাতে মা আলেয়া বেগম এবং স্বামীকে বঁাচাতে স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এগিয়ে এলে পুলিশ তাদের বেধরক লাঠিপেটা করে গুরুত্বর জখম করে। এক পর্যায়ে আমি এ হামলা ও ভাংচুরের কারণ জানতে চাইলে এস আই জাহিদ হাসান মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পা দিয়ে লাথিমেরে মাটিতে ফেলেদেয়। কোন কারণ না জানিয়ে ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আমার পুত্র আল আমিনকে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ইতো মধ্যে গ্রামবাসী ও স্থানীয় মেম্বার হোসেন আলী ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত অবহিত হয়। ভাঙ্গা দরজা, বিছানায় ও মেঝেতে ছোপছোপ রক্ত দেখে পুলিশকে ফোনদিলেও কোন সদুত্তর দেয়নি ঐ এস আই। সকালে আহত আলেয়া বেগম ও আনোয়ারা বেগমকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় ও পায়ে গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত ছেলেকে হাসপাতালে না পেয়ে সদর থানায় খোঁজ নিতেগেলে পুলিম তাঁর সন্ধান দেয়নি। রোববার বিকালে আবারো সদর থানায় ছেলের সন্ধানে নিখেঁাজ ডায়রি করতেগেলে পুলিশ তা গ্রহন করেনি। পরে জানতে পারি সোমবার দুপুরে আমার ছেলেকে অজ্ঞাত স্থান থেকে এনে জিআর মামলা ২৯৭/২৩(কুড়ি) মামলায় চালান দেয়।

এ ঘটনায় তিনি গোটা পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। পুলিশের বেআইনি কর্মকান্ড, গভির রাতে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর এবং পুরুষ পুলিশ সদস্যের হাতে নারীদের মারপিট ও লাঞ্চিত করার ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।

এস আই জাহিদ হাসান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অীভযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ভোটের ডিউটিতে থাকায় আসামীকে যথা সময়ে কোর্টে সোপর্দ করতে পারেননি। একটি দস্যুতা মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসাবে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আল আমিন পালানোর চেষ্টা করলে আহত হয়। তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ