কুমিল্লা নগরীতে ভুতুড়ে বিলে দেড় লক্ষাধিক টাকা দিশেহারা গ্রাহক
নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি

দুইটি পাখা, দুইটি লাইট, একটি ফ্রিজ ও টেলিভিশনের মাসিক বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে গ্রাহককে এই বিল দেয়া হয়। আগস্ট মাসে একই গ্রাহককে দেওয়া হয় ১৪০০ টাকার কিছু বেশি বিল। এমন ভুতুড়ে বিল পেয়ে বিস্মিত বাড়ির মালিক।
গতকাল রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা নগরীর দুই নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা কলোনির পশ্চিম গেটের এলাচি বাড়িতে। কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট এমন ভুতুড়ে বিল আসছে। অনেকে লাইন কাটার ভয়ে ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করছেন। কেউ ঘুরছেন অফিসের বারান্দায়।
ছোটরা এলাকার গৃহিনী তানজীদা আক্তার রিয়া জানান, সাড়ে ৪ বছর আগে তাদের দুই কক্ষের বাসাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিষয়টি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ শাসনগাছায় জানিয়ে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের লিখিত আবেদন করেন। বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি জানানোর পরেও প্রতিমাসে ৪০ কখনো ৪৩ টাকার বিল আসে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও মিটারের একটি বিল হয়।
সাড়ে চার বছর পর বাড়িটিকে পুন:নির্মাণ করেন। সে সময় আবারও শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি জানান।
বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়, তাদের বাড়ির মিটারটি যেন কার্ড মিটারে নেওয়া হয়। তিনি তাতে আপত্তি করেন। আগস্ট মাসে তাকে ১৪০০ টাকার বিল দেয়া হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর রিয়ার হাতে শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি বিল দেওয়া হয়। তাতে বিলের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা। এই বিষয়ে জানতে বিদ্যুৎ অফিসে বিলের কাগজ নিয়ে হাজির হন রিয়ার শ্বশুর মনজুর হোসেন। শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন।
কাপ্তান বাজার এলাকার মাসুদ রানা বলেন, কার্ড মিটারে যাওয়ার দুই মাস পরে ১৭শ’ টাকার বিল এসেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না।
রেইসকোর্স এলাকার জামিনা বেগম বলেন, কার্ড মিটারে গেছি তিন মাস। সেপ্টেম্বর মাসে বিল এসেছে ১৭শ’ টাকা। আমার কাছে কোন টাকা পাওনা নেই।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, আমাদের ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। কিছু ত্রুটি হতে পারে। দেড় লক্ষাধিক টাকার বিলের ওই বাড়ির মালিক যোগাযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবো। কিভাবে এই বিল তৈরি হয়েছে, আগের কোন বিল জমা আছে কি না সব চেক করা হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
jn