কুয়াশার চাদড়ে ঢাকা হিলি, শীতে নাস্তনাবোধ খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন
সালাহউদ্দিন বকুল, হিলি প্রতিনিধি।।
কুয়াশার চাদড়ে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুরের হিলি এলাকা।সেই সাথে হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে। তীব্র শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন।খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাচতে চেষ্টা করছেন সাধারন মানুষজন।
বুধবার সকাল থেকেই ঘনকুয়াশার চাদড়ে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। কুয়াশার কারনে কোন কিছু দেখা যাচ্ছেনা। যার কারনে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে।গততিনদিন ধরে সুর্যের তেমন একটা দেখা মিলছেনা।গতকাল দুপুর ১২টার পর সুর্যের দেখা মিললেও রোদের তেমন তেজ না থাকায় তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকলেও সারাদিন কুয়াশার চাদড়ে ঢাকা ও বাতাসের কারনে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে।বিকেলের পর থেকে শীতের পারদ নেমে আসছে যা সন্ধ্যার পর তীব্র আকার ধারন করছে যার কারনে বাজার রাস্তাঘাট একেবারে ফাকা হয়ে যাচ্ছে।
সিএনজি চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এত পরিমান কুয়াশা ঝড়ছে যে সামনে কি সেটা দেখা যাচ্ছেনা যার কারনে খুব ধীরে ধীরে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যার কারনে আগে যেখানে পাচবিবি থেকে হিলি আসতে ১৫ থেকে ২০মিনিট লাগতো এখন সেখানে আধা ঘন্টা বা ৪০মিনিটের মতো সময় লাগছে। যার কারনে আমাদের টিপ আগের চেয়ে কমে গেছে।
ভ্যানচালক জাকারিয়া হোসেন বলেন, কঠিন ঠান্ডা পড়েছে, সেই সাথে বাতাস ও কুয়াশার কারনে সেইরকম ঠান্ডা লাগছে। ঠান্ডার মধ্যে ভ্যান চালানোয় নাক দিয়ে এমনিতেই পানি ঝড়ছে। গা হাত পা শীটকা লেগে যাচ্ছে ঠান্ডার কারনে। তারপর লোকজন তেমন নেই যার কারনে আমাদের আয় রোজগার না থাকায় খুব বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি।
দিনমজুর ওহেদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল থেকে এতপরিমান কুয়াশা ঝড়ছে যে বলার মতো না সেই সাথে প্রচন্ড শীত যার কারনে আমরা কাজের মানুষ তারপরেও কাজের উদ্দেশ্যে বের হতে পারছিনা। এত ঠান্ডা ও কুয়াশা এর মধ্যে কাজ করবো কিভাবে আমরা। আবার কাজ না করলেও খাবো কি যার কারনে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি। কষ্ট করে কাজের সন্ধানে বের হলেও কাজ পাচ্ছিনা আমরা ঘুরে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এরপরে শীতের মধ্যে বের হওয়ার কারনে জ্বর শর্দী কাশি তো লেগেই আছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর এর ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪থেকে ৬ কিলোমিটার বেলা বারার সাথে সাথে যা ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে বিদ্যমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে। চলমান এই আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী ৭জানুয়ারী পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এর পরে ক্রমান্বয়ে আবাহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।