গাজার হাসপাতালে হামলার হুমকি ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের গাজাসহ পশ্চিমতীরে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় প্রবেশ করেছে আরও ইসরায়েলি সেনা। পাশাপাশি, হাসপাতালে হামলার হুমকি দিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের গুদাম ভেঙে ত্রাণ নিয়ে গেছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা। গাজায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়ালো, এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
সোমবার ভোর পর্যন্ত গাজা জুড়ে তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার রাত থেকে চলা এ বিমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
২৩ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার বোমা ও গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পাশাপাশি গাজায় ঢুকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
এছাড়া, উত্তর গাজার আল-সাফতাউই এলাকায় স্থল অভিযান চালায় নেতানিয়াহু-বাহিনী। অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে হামলা চালানোর পর, নাবলুস শহরেও অনুপ্রবেশ করেছে তারা।
গাজার আল-কুদস হাসপাতাল দ্রুত খালি করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সতর্ক করে বলেছে, সেখানে বোমা ফেলা হবে। তবে, ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রোগী এবং ইনকিউবেটরে থাকা শিশুদের সরানো সম্ভব নয়।
মানুষের মৌলিক চাহিদার খাবার, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি কোনও কিছুই প্রবেশ করতে পারছে না গাজায়। ফলে খাবার ও পানির অভাবে মানবিক সংকটে বাসিন্দারা।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা- ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, হাজার হাজার বাসিন্দা গুদাম ও বিতরণ কেন্দ্রে প্রবেশ করে আটাসহ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক লড়াই চলছে।
এফআর/অননিউজ