জরুরী সভায় যে সিদ্ধান্ত নিলেন কুমিলা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার গ্রীণ রোডস্থ গ্রীণ লাইফ মেডিক্যাল কলেজের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রোশন আলী মাস্টারের সঞ্চালনা উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

সভায় জেলা নেতাদের সবার সম্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তার। রোশল আলী মাস্টার সাক্ষরিত জেলোা আওয়ামী লীগের চিঠিতে বলা হয়েছে,

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে স্বতন্ত্র এমপি’র সমর্থিত লোকদের দ্বারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলা যেনো আর সংঘঠিত না হয় সে ব্যাপারে সাংগঠনিক তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদান্ত গৃহীত হয়। ভবিষ্যতে দলের শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডে জরিত আছে বলে প্রমানিত হলে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদান্ত গৃহীত হয়।‚

‘আগামি ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে মেয়াদ উত্তীণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদ উত্তীন কমিটি গুলো আগামী ৩১ মে ২০২৪ইং তারিখের মধ্যে সম্মেলন দিয়ে করা জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদান্ত গৃহীত হয়।‚

‘চান্দিনা পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভা শেষে স্বতন্ত্র এমপি জনাব আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইমরান আরিফিন ইমু এবং এমপি’র ফুফাতো ভাই ইসমাইল হোসেন গং এর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি’র গাড়ি ভাঙ্গচুর করে এবং গাড়িতে থাকা লোকজনকে মারাত্মক ভাবে আহত করেন। এই অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের কারণে ইতি মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদ স্বতন্ত্র এমপি জনাব আবুল কালাম আজাদকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ হতে অবাহতি দিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভানেত্রীকে সভার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। দলীয় শৃংখলা রক্ষার্থে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ’কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে আজীবন বহিষ্কারের সিদান্ত গৃহীত হয় এবং ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জরিত ছাত্রলীগের উল্লিখিত নেতাদেরকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরারব সুপারিশ করার সিদান্ত গৃহীত।,

‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের সহিংস ঘটনায় চান্দিনা থানায় দায়ের করা মামলা অদৃশ্য কারণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। মামলার অগ্রগতির জন্য মাননীয় সভানেত্রীর হস্তক্ষেপ সভায় কামনা করা হয়।‚

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ