তথ্যপ্রাপ্তিতে হয়রানি বন্ধে তৎপর হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
অনলাইন ডেস্ক।।
তথ্যপ্রাপ্তিতে কেউ যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য তথ্য কমিশনকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আজ রোববার বঙ্গভবনে “তথ্য কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩” গ্রহণকালে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “তথ্য পাওয়া জনগণের অধিকার, তারা যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে সেই প্রক্রিয়ায় কেউ যেন কোন হয়রানি শিকার না হয়।”
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে আজ দুপুরে প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল “তথ্য কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩” পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্যরা হচ্ছেন- তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক, মাসুদা ভাট্টি ও কমিশন সচিব জুবাইদা নাসরীন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধান তথ্য কমিশনার বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক ও কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তথ্য কমিশনকে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী থাকতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ইনফরমেশন কমিশনারস (আইসিআইসি)র নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তথ্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তথ্য কমিশন জনগণের সংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সাবধানে বাধা-বিপত্তি অপসারণে তাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান তথ্য কমিশনার জানান, এ পর্যন্ত এক লাখ ৫৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে এবং এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তথ্য প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কমিশন নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : একুশে টেলিভিশন
এফআর/অননিউজ