তিতাসে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন।
কুমিল্লা প্রতিনিধি

গত ০৬.০৮.২০২৫ইং তারিখ রাত্র অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম নজরুল ইসলাম ভূইয়া(৩৮) তার বাসা হতে পুরান বাড়ী যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হয়। উক্ত ঘটনায় তিতাস থানায় গত ০৮.০৮.২০২৫ইং তারিখ ভিকটিমের বাবা নিখোঁজ ডায়রী করে। থানা পুলিশ ভিকটিমের মোবাইল নম্বরের সূত্রধরে তদন্ত শুরু করে, ভিকটিমের মোবাইল নম্বরের সিডিআর পর্যালোচনা করে সন্দিগ্ধ মোবাইল নম্বরের সন্ধানকালে নম্বরগুলি বন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধ নম্বরের রেজিষ্ট্রেশনের ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় উক্ত নম্বরটি গত ০১ বছর পূর্বে তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। উক্ত নম্বরটি কে বা কারা ব্যবহার করে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করেছে সেই ব্যক্তিকে খুঁজতে থানা পুলিশ কুমিল্লা,গৌরিপুর সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। ব্যাপক তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তি পর্যালোচনা করে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগকারী ব্যক্তি মজিদপুর মধ্যপাড়া সাকিনের মজু মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৫) দ্বয়কে আটক করে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে যে, স্বামী- স্ত্রী পূর্ব পরিকল্পনামতে ভিকটিমকে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে লোহার কুড়াল দিয়া মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। আসামীদ্বয় পূর্বে পরিকল্পিতভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানোর জন্য অন্য একজনের নামে রেজিষ্ট্রিকৃত সিম ব্যবহার করে ভিকটিমকে বাসায় ডাকে এবং পরবর্তীতে উক্ত নম্বর সহ মোবাইলটি ফেলে দেয়। ভিকটিমের লাশ গুম করার জন্য ধারালো ছুরি ও কুড়াল দিয়া তাহার মাথা, ০২ হাত, ০২ পা কাটিয়া ০৪টি বস্তায় ইট ও পানির বোতল সহকারে ভরিয়া বাড়ীর পাশে খালে ফেলে দেয়। আসামীদের তথ্য মতে মজিদপুর-সাহাবৃদ্ধি খাল হতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে খোাঁজাখুজি করে ০১টি প্লাষ্টিকের বাজারের ব্যাগের ভিতর ০২টি ইট ও পানির বোতল সহ ভিকটিমের ০২টি কাটা হাত এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে তিতাস থানার মামলা নং- ০৪, তারিখঃ- ১০.০৮.২০২৫খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করে আসামীদ্বয়কে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ
তিতাস থানা,কুমিল্লা।