না ফেরার দেশে চলে গেলেন গুলিতে নিহত হরিপদ সাহার মা
আহসানুজ্জামান সোহলে, কুমিল্লা।।
হরিপদ সাহার বোনে ভাষ্য মা যেদিন থাইক্কা টের পাইছে আমার দাদা হরিপইদ্দা আর নাই, হে্দিন থাইক্কা ঠিকমতো খানাদানা খায়না। কেউ আমডার বাইত আইলে হেরার দিকে চাইয়া থাকত। চোখ দিয়া ইশারা দিত। হরিপইদ্দা কই। আমার ভাইডার শোকে আমার মাও চইল্লা গেল।’
স্থানীয়রা জানান, রেনুবালা ছেলে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হরিপদ সাহার মা রেনুবালা সাহা মারা গেছেন।মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেনু বালার মেজো মেয়ে বুলু বালা সাহা।তিনি বলেন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নগরীর টিক্কারচর শ্মশানে তার শেষকৃত্য হয়।
রেনুবালার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। হরিপদ ছিলেন সবার ছোট। পাঁচ মাস আগে হরিপদের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। নিঃসন্তান হরিপদের অবলম্বন ছিলেন তার মা রেনু বালা। মায়ের সেবা যত্ন আর কাউন্সিলর সোহেলের সঙ্গেই সময় কাটত তার।
রেনুবালার মেজো মেয়ে বুলু বালা সাহা বলেন, ‘আমার ভাইডা আমার মাডারে দেখত। মা যেদিন থাইক্কা টের পাইছে আমার ভাই হরিপইদ্দা আর নাই, হেদিন থাইক্কা ঠিকমতো খানাদানা নাই। কেউ আমডার বাইত আইলে হেরার দিকে চাইয়া থাকত। চোখ দিয়া ইশারা দিত। হরিপইদ্দা কই। আমার ভাইডার শোকে আমার মাও চইল্লা গেল।’
প্রতিবেশী দুলাল সাহা বলেন, রেনু বউদির বয়স হইছে এটা ঠিক। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ছিলেন। তবে তার ছেলে হরিপদের মৃত্যুর শোকটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর কার্যালয়ে ঢুকে একদল সন্ত্রাসী কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনয় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24