পেয়াজ আমদানির খবরে হিলিতে দাম কমেছে পেয়াজের
হিলি প্রতিনিধি
ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু হচ্ছে এমন খবরে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮টাকা করে। একদিন পুর্বেও প্রতি কেজি পেয়াজ ৪০টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ থেকে ৩৪টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু ভালোমানের পেয়াজ ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পেয়াজের দাম কমায় খুশি নিন্ম আয়ের মানুষজন দাম যেন কম থাকে সেই দাবী জানিয়েছেন তারা।
হিলি বাজারে পেয়াজ কিনতে আসা মজনু রহমান বলেন, গতসপ্তাহে পেয়াজ কিনেছিলাম ২৮ থেকে ৩০টাকা কেজি হিসেবে। কুরবানীর ঈদ ঘনিয়ে আসায় সেই পেয়াজ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে ৪০টাকায় উঠে গিয়েছিল। পেয়াজের এমন বাড়তি দামের কারনে আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। অবশ্য আজকে পেয়াজ কিনতে এসে দেখি দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ৩২ থেকে ৩৪টাকা কেজিতে পেয়াজ পাওয়া যাচ্ছে এতে করে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হয়েছে। পেয়াজের দাম যেন এমন কম থাকে তাহলে আমরা কুরবানীর ঈদের সময় পেয়াজ কিনে খেতে পারবো।
হিলি বাজারের পেয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, সরকার অনুমতি না দেওয়ায় গত মে মাস থেকে হিলিসহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এরপরেও বাজারে দেশীয় পেয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এসময়ে দাম কম ছিল। কিন্তু গতসপ্তাহে হঠাৎ করেই পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পেয়াজের সররবাহ কমায় দাম বাড়তে শুরু করে। পেয়াজের দাম মনপ্রতি ৫/৬শ টাকা করে বেড়ে যায় যে পেয়াজ ১হাজার ২শ টাকা ছিল সেটি ১হাজার ৮শ টাকায় উঠে গিয়েছিল যার কারনে আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে হঠাৎ করে পেয়াজের মুল্য বৃদ্ধি ও আসন্ন কুরবানীর ঈদে পেয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে এমন খবরে আবারো মোকামে পেয়াজের দাম মন প্রতি ২/৩শ টাকা করে কমেছে। এতে করে কম দামে কিনতে পারায় খুচরা বাজারেও পেয়াজের দাম কমেছে। ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু হলে ঈদের আগে পেয়াজের দাম আরো কমে আসবে বলে জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, সরকার পেয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) না দেওয়ার কারনে গত ৫ মে থেকে হিলি সহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি দেশীয় পেয়াজের দাম বাড়ায় দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে ও কুরবানীর ঈদে পেয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয়কে পত্র দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। এর ফলে আমরা মনে করছি হয়তোবা পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে পারে। এর ফলে আমাদের অনেক আমদানিকারক পেয়াজের আইপির জন্য আবেদন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন আইপির অনুমোদন দেয়নি তবে আগামী রবিবার এবিষয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে সিন্ধান্ত আসতে পারে। যদি আইপি দেয় তাহলে এলসি খুলে সোম বা মঙ্গলবার থেকে বন্দর দিয়ে আবারো পেয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে। এতে করে দেশের বাজারে পেয়াজের দামের অস্থিতিশীল অবস্থা রয়েছে সেটি স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে দাম ২৫টাকার মধ্যে চলে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত ৫ মে থেকে পেয়াজের আইপি ইস্যু করেনি মন্ত্রনালয়। এর ফলে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি সম্পুর্নরুপে বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত আগের সিন্ধান্তই বহাল রয়েছে নতুন করে পেয়াজের আইপি প্রদানের কোন নির্দেশনা আমাদের নিকট আসেনি।