ফ্যাসিস্ট জায়েদুল আহসান পিন্টুর দখলে ডিবিসি নিউজ
অনলােইন ডেস্ক।।
সম্পাদক ও পতিত স্বৈরাচার সরকারের আরেক দোসর প্রনব সাহাকে হটিয়ে ডিবিসি নিউজের একক সম্পাদক বনে গেলেন শহীদ জিয়াউর রহমানকে হত্যাকারী বলে বই লেখা জায়েদুল আহসান পিন্টু। আওয়ামী লীগের গুজব সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআই এর অন্যতম প্রধান জায়েদুল আহসান পিন্টু। যিনি প্রয়াত শেখ মুজিবের নাতি রেদওয়ান ববির বন্ধু। বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার করেছে জায়েদুল আহসান পিন্টু’। এমন অভিযোগে পিন্টুসহ কয়েকজনের বিচারও চাওয়া হয়েছিলো শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। শিক্ষার্থীদের এমন দাবির মুখে এবং বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম-আর্থিক অপরাধ ওঠায় ডিবিসি নিউজ কর্তৃপক্ষ জায়েদুল আহসান পিন্টুকে আপাতত অফিসে আসতে নিষেধ করেন। পরে বিএনপিপন্থী দুজন সাংবাদিক নেতার দ্বারস্থ হন পিন্টু। ওই দুইজন সাংবাদিক নেতা আরেক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নেতার সঙ্গেও পিন্টুকে কথা বলিয়ে এককভাবে সম্পাদকের চেয়ারে বসানোর আশ্বাস দেন। বিএনপিপন্থী ওই দুই সাংবাদিক পিন্টুকে বলেন, অন্তর্বতী সরকারের সময় পিন্টু একক সম্পাদক এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তাকে প্রধান সম্পাদক কাম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করা হবে। সেই সঙ্গে ডিবিসি নিউজের ৫ পার্সেন্ট শেয়ারও পিন্টুর নামে করে দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। পিন্টুর সঙ্গে এসব বৈঠকের স্বাক্ষী রয়েছেন একাধিক সাংবাদিক তবে কত টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সবশেষ ডিবিসি নিউজে ক্যু করে প্রনব সাহাকে হটিয়ে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সুবিধাভোগী সাংবাদিক এবং লীগের থিং ট্যাংক জায়েদুল আহসান পিন্টু হন একক সম্পাদক।
জানাগেছে, পিন্টু একক সম্পাদক হওয়ার পর এরইমধ্যে প্রযোজনা বিভাগ, বার্তা এবং রিপোর্টিং বিভাগে ছাটাইয়ের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে শনিবার একক সম্পাদক হওয়ার পর রবিবার একজন বার্তা সম্পাদককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়। কয়েক ধাপে ডিবিসি নিউজের সিনিয়র জুনিয়র আরো কয়েকজন কর্মীকে বাদ দেয়ার জন্য এখন ওঠেপড়ে লেগেছেন। আওয়ামী লীগের ক্যাডার সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ডিবিসির এমন চারজনই পিন্টুর সাঙ্গপাঙ্গ। যাদের দিয়ে অভিযোগ সাজিয়ে ছাটাইয়ের তালিকা করছেন। এদিকে পিন্টু একক সম্পাদক হওয়ার পরই ডিবিসি নিউজে প্রয়াত শেখ মুজিবুরের উপর যেকোনো প্রতিবেদনে তার নামের আগে জাতির পিতা এবং বঙ্গবন্ধু সম্বোধন করার জন্য সবাইকে মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
★ জায়েদুল আহসান পিন্টু অফিসে কাউকে সন্দেহ করলে এনটিএমসির মাধ্যমে কল রেকর্ড নিয়ে যার তার ব্যক্তিগত প্রাইভেসি নষ্ট করতেন।
★ পিন্টুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে৷ পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে মাসিক মাসোহারা পান ফ্যাসিস্ট পিন্টু। যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য রয়েছে।
★ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ডিবিসি নিউজের অফিসে তাদের এজেন্ডা ভিত্তিক প্রতিবেদন পিন্টুর রুমে এসে দিতেন (সিসি ক্যামেরায় প্রমান মিলবে)। বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পিন্টু তার রিপোর্টারদের দিয়ে অনেক গালগল্প রিপোর্ট বানাতে বাধ্য করেছেন। ইউনূসের বিরুদ্ধে স্ক্রিপ্ট লিখে দিতো পিন্টু। ডেস্কের কর্মী অথবা রিপোর্টারকে বলতেন ভয়েস দিতে। এভাবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নানা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতো পিন্টু। মোটা অংকের বিনিময়ে
★ পিন্টুর স্ত্রী একাত্তর টিভির উপস্থাপিকা শবনম আজিম। যিনি আওয়ামী লীগের প্রচার কমিটির সদস্য।
★ অফিসে কেউ নামাজ লড়লে তাকে জামায়াত শিবিরের ট্যাগ দিতেন পিন্টু এবং তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ।
★ পিন্টুর মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অনেক স্বাক্ষ্য প্রমান রয়েছে।