বগুড়ায় পৃথক হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
বগুড়া প্রতিনিধি ।
বগুড়ায় পুথক হত্যা মামলার রায়ে আদালত ৭ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। বুধবার বগুড়ার অতিরিক্ত দুই জেলা ও দায়রা জজ এসব রায় দেন।
জেলার শিবগঞ্জে রাইচ মিলের নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় ২৪ বছর পর ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এই রায় দেন। একই সঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। দন্ডিতরা হলেন- আফজাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, গুলজার রহমান, আসমা বেগম ও আলম ফকির। এদের মধ্যে আলম ও আসমা পলাতক থাকায় বাকি চার আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি জহুরুল ইসলাম।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম জানান, ১৯৯৮ সালের ১৮ অক্টোবর বগুড়ার শিবগঞ্জর উপজেলার বিলহামলা গ্রামে একটি রাইচ মিলের নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে হত্যা করে আসামিরা মটর চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাইচ মিল মালিক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ২৪ বছর পর আদালত বুধবার ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
অপর মামলায় কাহালুর লক্ষী মন্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট স্থানীয় পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামের এক কৃষককে মারপিটের পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন । এরমধ্যে মামলা চলাকালীন সময়ে দু’জন মারা যান। দীর্ঘ ২৬ বছর পর এ মামলায় আসামী তসলিম উদ্দিন (৭০) কে যাবজ্জীন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন আদালত। অর্থদন্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে আনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয় তসলিম উদ্দিনকে। এছাড়াও মামলার অন্য ১৫ আসামীকে খালাস দেওয়া হয়। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান রায় ঘোষণা করেন ।দন্ডিত তসলিম উদ্দিন কাহালুর লক্ষীমন্ডপের মৃত তোরাব আলীর ছেলে।ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার দাস বিশু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।