বাংলাদেশ এম্বাসি বাহরাইনের মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
সাহিন সিকদার বাহরাইন।
বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, উন্মুক্ত আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ডঃ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশর গন্ডি পেরিয়ে তা আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হচ্ছে। তিনি মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবদানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ডঃ ইসলাম নতুন প্রজন্মের মাঝে একুশের সুদূরপ্রসারী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা রুপান্তরের প্রয়োজনীয়তা’-যা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও বহুভাষা শেখার প্রতি জোর দেন। এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে দল ও মতের বিবেদ ভূলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘র্স্মাট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
পরিশেষে, ভাষা শহিদদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।