বাগমারায় হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা ইউপি চেয়ারম্যানের পকেটে গ্রামপুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
বাগমারায় হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে গোয়ালকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইউপি সচিব আনারুজ্জামান রিপন অবহিত করেছেন। এরপর রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসানকে ইউপি কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে হতদরিদ্র উপকারভোগী মহিলাদের সেবায় চালু রয়েছে (ভিডবিøউবি) ভার্নারেবল উইম্যান বেনিফিট সেবা কার্যক্রম। ওই কার্যক্রমের মাধ্যমে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ১৫৮ জন হতদরিদ্র মহিলাকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাউল দেওয়া হয়। সেই সাথে ওইসব হতদরিদ্র মহিলাদের নিকট থেকে মাসিক ২০০ টাকা করে সঞ্চয় নেওয়া হয়। সেই টাকাগুলো আলোকনগর কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে জমা করে ২৪ মাস পর তা ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসান হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬০০ টাকা ব্যাংকে জমা না করে তা
আত্মসাৎ করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব আনারুজ্জামান রিপন জানান, হতদরিদ্র মহিলাদের মাঝে চাউল বিতরণের পর তিনি ব্যাংক স্ট্রেটমেন্ট তুলে দেখেন, গত ২১ মাস যাবৎ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে সঞ্চয়ের কোন টাকা জমা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার বলেন, হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকাগুলো প্রতি মাসে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় এ বিষয়ে তিনি আর খোঁজখবর নিতে পারেননি। তবে হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা আতœসাতের কথা স্বীকার করেছে জনতার হাতে অবরুদ্ধ গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসান।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম রোববার রাতে জানান, হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতার হাতে আটক গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসানসহ অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে তার দপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একে/অননিউজ24