বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে ৫দিনব্যাপী বিজু, সাংগ্রাই বৈসুক বিষু মেলা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।

খাগড়াছড়িতে নানান আনুষ্ঠানিকতায় শুরু হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরদের সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান বৈসাবি উৎসব।

গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে।

উৎসবকে সামনে রেখে শুক্রবার খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল মাঠ প্রাঙ্গনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজনে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেছেছে।
শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের ঐতিহ্যবাহী স্ব স্ব পোশাকে অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান,
ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল অবদুল্লাহ্ মোঃ আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মুক্তাধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো: নাজমুল হক, শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবুল হাসনাত,খাগড়াছড়ি এএসইউ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মুদাসার মুনাওয়ার রাজগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, এনএসআই ফিরোজ রাব্বানী, জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা পরিষদ সদস্য আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য নীলোৎপল খীসা, জেলা পরিষদ সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ সদস্য ক্যজরী মারমা, মংক্যচি চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা পরিমল দেবনাথ।

৫ দিনের সংস্কৃতি মেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নানা খাবার, ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও হস্তশিল্প সামগ্রী স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

মুলত আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ৩ দিন ব্যাপী মুল উৎসব পালন করা হলেও এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’র সংগঠন নানা কর্মসুচী পালন করে।

সরকারি ভাষায় ব্যবহৃত বৈসাবি শব্দকে চাকমারা বিঝু, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বৈইসুক এবং মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসব নামে পালন করে থাকে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান বৃন্দ, পৌর কাউন্সিলবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দও পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সম্মানিত হেডম্যান-কার্বারীবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ