ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এবারের মনোনয়ন কার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
উপ-নির্বাচন কে পাচ্ছেন মনোনয়ন,মহাজোট না আওয়ামীলীগ দলীয় কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে, এ আলোচনায় সরব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ )নির্বাচনী এলাকা। বিএনপি’র উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার পদত্যাগের পর মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
জনসংযোগ শুরু করেছেন গত সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী,সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন মঈন। তিনি বিএনপি প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন। উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ধানের শীষ প্রতীকে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈনউদ্দিন মঈন কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
মঈন বলেন,গত নির্বাচনের পর থেকে মাঠ ছাড়িনি। গত ২ দিনে অরুয়াইল,পাকশিমুল,ধামাউড়া এবং আশুগঞ্জে গনসংযোগ করেছি। মাঠ ব্যাপার নয়,ব্যাপার হচ্ছে মনোনয়ন।
মহাজোট থেকে নির্বাচিত এ আসনের সাবেক সংসদ এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা মাজার জিয়ারত করে প্রচারনা শুরু করেছেন শুক্রবার থেকে। তিনি নির্বাচন করবেন জানিয়ে বলেন,ম্যাডাম(পার্টি চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ) বলেছেন মাঠে থাকতে। মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা গত নির্বাচনে ৩৯ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। এছাড়াও আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়নের জন্যে তৎপর
নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম(শিউলী আজাদ),সাবেক ছাত্রনেতা,শিক্ষক কর্মচারী কল্যান ট্রাষ্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু,ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী। ডাক্তার আশীষ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। গত ১৫ বছর ধরে এলাকায় তিনি সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত। সরাইলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাতেও তার ভূমিকা অনন্য। শারদীয় দূর্গোৎসবে তার বাড়ির আয়োজন সকল শ্রেনীর মানুষের মিলনমেলায় পরিনত হয়।
শিউলী আজাদ বলেন, নেত্রী মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করবো।
২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮’র সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন মহাজোটেরর শরীক জাতীয় পার্টিকে দেয়া হয়। আগের দুটি নির্বাচনে মহাজোটের মৃধা জয় পেলেও সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে তার পরিবর্তে তার মেয়ের জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এনিয়ে মৃধা সমর্থকদের আন্দোলনে মনোনয়ন পরিবর্তন হলেও তিনি লাঙ্গল প্রতীক পাননি।
এরআগে এই আসন ৪ দলীয় জোট,বিএনপি’র দখলে ছিলো। আওয়ামীলীগ কখনো জয় পায়নি এখানে। নিজেদের অন্তদ্বন্ধে বিপর্যয় ঘটেছে বারবার। যদিও আওয়ামীলীগ নেতারা বারবারই দলের নিজস্ব প্রাথী দেয়ার দাবী জানিয়ে আসছেন। অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন,আগে যাই হোক এখন এই আসনটি আওয়ামীলীগের। আগে আশুগঞ্জ ছিলো সদর নির্বাচনী এলাকার সাথে। আর সদরের ৫টি ইউনিয়ন ছিলো সরাইলের সাথে। এসব ইউনিয়নে আশি ভাগ ভোট পেয়েছে বিএনপি। ২০০৯ সালে আশুগঞ্জ সরাইলের সাথে যুক্ত হওয়ায় এটি আওয়ামীলীগের আসন হয়েছে। কারন আশুগঞ্জে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার পর কখনো হারেনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন বলে জানান।
সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান আনসারী,এডভোকেট সৈয়দ তানভীর কাউসারও দলের মনোনয়ন প্রার্থী। এদিকে আশুগঞ্জ বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু আসিফ আহমেদ স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বলে আলোচনা ছড়িয়েছে। তিনি বলেন-আমি দলের কোন পদে নেই এখন। মানুষ চাইছে আমি প্রার্থী হই।