ভাঙ্গায় ‘মামলা করায়’ সাংবাদিকের ওপর হামলা
ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ভাঙ্গা থানায় মামলা করায় মাহমুদুর রহমান তুরান (৩২) নামে এক সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৩) সকাল ০৯ টার দিকে উপজেলার সরাকারি হাসপাতালের বিপরীত পাশে অবস্থিত তুরানের নিজেস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদেরকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি ভাঙ্গা থানার পুলিশ।
জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্খ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মহাশিন ফকিরের দুর্ণীতির নিউজ সংগ্রহ করার জেরে গত ১৭ মে ২০২২সালে সংবাদকর্মী তুরানের উপর হামলা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হলে ফের এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী তুরানের। তিনি জাতীয় দৈনিক অবজারভার ও দৈনিক আমার সংবাদ ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি মো. ওমর মোল্লা (৪৫) উপজেলার পৌরসদরের মৃত আমজাদ মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
হামলার শিকার তুরান জানান, হামলাকারী ওমর মোল্লা ও তার সহযোগীরা এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজি এবং দখলবাজী সংগঠিত করে। এরা এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে। ওমরের মুল ব্যবসা হলো হুন্ডি ও চোরাই পথে সোনা আনা। সে মাসে এক থেকে দুইবার দুবাই ,কাতার ও থাইল্যান্ড যায় সোনা ও মাদক আনতে। ভাঙ্গা পৌর সভার মাদকের নিয়ন্ত্রন করে ওমর মোল্লার সহোযোগি জনি মুন্সি। জনির নামে ভাঙ্গা থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে(ভাঙ্গা থানার মামলা নম্বর-জিআর-২৬৪/১২ অপর মামলা জিআর -৬/২১)। আগের মামলায় সাজা হবে বুঝতে পেরে আসামিদ্বয় গত ১৭ জানুয়ারি সকালে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমাকে ওমর মোল্লার নির্দেশে মারধর করেন জনি মুন্সি তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় সেদিনই ওমর মোল্লাকে প্রধান আসামি করে তার সহযোগী আরও ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করি। বাকি আসামিরা হলেন- একই এলাকার বাসিন্দা জনি মুন্সি (৩৫), হাবিব শেখ (২৮), রতন মোল্লা (২৩), সোহান মুন্সি(৩২), রাজন আহম্মেদ (৩৫) । মামলা দায়েরের আটদিন হলেও থানা পুলিশ একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন নাই।
তুরান আরো বলেন, হামলার পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। আসামিরা যাবার সময় বলতে বলতে যায় তোকে পরবর্তিতে সুযোগ পেলে জানে মেরে ফেলব।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।