ভেড়ামারায় মাছসহ জলমহাল দখলের চেষ্টার অভিযোগে এক মাছ চাষির সংবাদ সম্মেলন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুরের ভোগের দহ জলমহাল ও চাষকৃত মাছ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জলমহাল ও মাছ রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে লিজ গ্রহিতার অংশীদার এক মাছ চাষি। সোমবার বিকালে মওলাহাবাস পুর জলমহালের ধারে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মওলাহাবাস পুর গ্রামের মাছ চাষি ও জুনিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভেড়ামারার ধরমপুর ও জুনিয়াদহ ইউনিয়নে অবস্থিত ভোগের দহ জলমহাল (মানিকের বাধ হতে মওলাহাবাসপুর ব্রিজ পর্যন্ত) শাপলা মৎস্য জীবী সমিতির পক্ষে বাৎসরিক চালান ও আয়কর প্রদানের মাধ্যমে আমার অংশীদারিত্বের চুক্তিনামা অনুযায়ী লিজকৃত অংশে মৎস্য চাষ সহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন থেকে ধরমপুর বিএনপির সভাপতি মোঃ রবিউল সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদুজ্জামান মিঠু এবং ধরমপুর ইউপি চেয়ারমম্যান মোঃ সামসুল হক এক হয়ে দলবল নিয়ে মাছসহ জলমহাল দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর লিজকৃত অংশ থেকে আমাকে ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকি দেখিয়ে বের করে দেয়। এছাড়াও দুই মাস আগে লিজকৃত জলমহালের অংশে জোর পূর্বকভাবে চাষকৃত মাছ নালা সুষ্টির মাধ্যমে বের করে দেয়। এতে আমার অনুমান পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। বর্তমানে আমাকে জলমহালে না যেতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়ার মেয়াদ এখনও ৬ মাস অবশিষ্ট রয়েছে।
এবিষয়ে ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। লিজকৃত অংশে শান্তিপূর্ণভাবে মাছ চাষ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এবিষয়ে রবিউল সরকার ও আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, লীজ অনুযায়ী নদী (জলমহাল) হলো সামসুল চেয়ারম্যানের। তার মাছ কামরুল লুট করে মেরে নিতে চায়। আমরা বলেছি তা হবে না। দুই পক্ষের শালিসি করে সমাধান করতে হবে। ধরমপুর বিএনপির নেতৃবৃন্দ দায়িত্ব
নেয়, যেন কোন অরাজকতা, লুটপাটের সৃষ্টি না হয়। অথচ কামরুল শালিসিতে বসবে না মাছ জোর করে মেরে নিতে চায়। এটি হলে বিএনপির দুর্নাম হতো। সে জন্য আমরা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা জলমহাল দখলের চেষ্টা করছি এ অভিযোগ ডাহা মিথ্যা।
চেয়ারম্যান সামসুল হক বলেন, আমার অংশের মাছ সে জোর করে মেরে নিতে গেলে বাঁধা দেওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ শালিসির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে চাইলে সে রাজি হচ্ছে না। জোর করে মাছ মেরে নিতে চাই। আমি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ জলমহাল দখলের চেষ্টা করছি এই কথা মিথ্যা।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।