মুক্তির তালিকায় পরিবর্তন চায় ইসরায়েল, হয়নি সমঝোতা

অনলাইন ডেস্ক।।

গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হচ্ছে আজ। মেয়াদ বাড়বে কিনা তা নিয়ে এখনও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দু’পক্ষ। ষষ্ঠ দিনে ১০ ইসরায়েলিসহ ১৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে গাজায় হামলা বন্ধ থাকলেও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ৮ বছর বয়সী শিশুসহ দুজন। এ ঘটনাকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।

গাজায় শেষ হতে চলেছে ৬ দিনের যুদ্ধবিরতি। মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। বৈঠক চলছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায়। তবে এখনও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি হামাস ও ইসরায়েল।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য বলছে, জিম্মিদের মধ্য থেকে কাদের মুক্তি দেয়া হবে এরইমধ্যে তার তালিকা ইসরায়েলকে দিয়েছে হামাস। তবে নেতানিয়াহু সরকার ওই তালিকা প্রত্যাখান করেছে। পরিবর্তন চায় তারা।

এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তালিকা নিয়ে দু’পক্ষ সমঝোতায় না পৌঁছুলে আবারও শুরু হতে পারে হামলা।

এফআর/অননিউজ
এদিকে ষষ্ঠ দিনে চুক্তি অনুযায়ী ১০ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এছাড়া চুক্তির বাইরে আরও দুই ইসরায়েলি-রাশিয়ান ও চার থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

আর ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ৩০ ফিলিস্তিনীকে।

এদিকে, যুদ্ধবিরতির কারণে গাজায় হামলা বন্ধ থাকলেও পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলী অভিযান বন্ধ হয়নি। বুধবার পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলীবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৮ বছর বয়সী আদম সামের আল-গৌল ও ১৫ বছর বয়সী সুলেইমান আবু আল-ওয়াফা।

এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা অ্যালবানিস। বলেন, ইসরায়েলের দখল করা কোনো স্থানেই ফিলিস্তিনিরা নিরাপদ নয়।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ